শুরু হয়েছে সবেমাত্র এক সপ্তাহ হল কিন্তু এর মধ্যেই ধীরে ধীরে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে নবাব নন্দিনী। জুটিটা ভীষণ সুন্দর মানিয়েছে আর ইন্দ্রানী যেন একটু বেশি ভালো অভিনয় করছে এখানে। রেজওয়ান রব্বানী কে নিয়ে বলার তো কিছু নেই। নবাবের চরিত্রের তার যা অভিনয় এবং চোখ মুখের এক্সপ্রেশন সেটা দুর্দান্ত লাগছে।
ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি যে নবাব আর নন্দিনীর মধ্যে কতটা টক্কর লেগেছে।অর্ণবের সঙ্গে বিয়েটা ভেঙ্গে দিয়েছে নন্দিনী আর তার বাবা বারাসাতের এসআরকে, তিনি আচমকা বড়লোকগমন করেছেন। একটা সময় সুখে প্রাচুর্যে মানুষ হয়েছে যে নন্দিনী সেইই আজ মাথার উপর বাবার মতো ছাতা হারিয়ে দিশেহারা। ছোটবেলা থেকে বাবা সোনার চামচ মুখে নিয়ে তাকে মানুষ করেছে অভাব অনটন কী কোনদিনও বোঝেনি তাই এখন বাস্তব মাটিতে এসে প্রবল কষ্টের মুখে পড়েছিল নন্দিনী কিন্তু নিজের যোগ্যতা দিয়ে শেষ রয়াল হোটেলে চাকরি যোগাড় করে নেবে। আর কমলিকার মুখে ঝামা ঘষবে।
তবে এর মধ্যে নবাব আর নন্দিনীর মধ্যে বেশ ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। একজন অন্ধ মেয়েকে হাত ধরে নবাব তাড়াতাড়ি করছিল,এরকমটা দূর থেকে দেখতে পেয়ে নন্দিনী এসে নবাবের গালে থাপ্পড় মারে। পরে আসল সত্যিটা জানতে পারে যে এই অন্ধ মেয়েটির পড়াশোনার খরচ নবাব যোগায় এবং তার জন্যই সে জোর করে মেয়েটার হাতে টাকা তুলে দিচ্ছিল। সেটা জানার পর নন্দিনীর অনুশোচনা বোধ হয় কিন্তু নবাব ব্যাপারটা সহজে ভোলেনা।
তাই এবার নতুন দেখা যাচ্ছে না নবাব প্রতিশোধ নেবে। একা অটোতে যখন রাতের বেলা নন্দিনী ফিরছিল তখন নবাব তাড়া করে আর নন্দিনী রাস্তায় পড়ে যায়, তার পা কেটে যায়। এখন নবাব নন্দিনীকে নিয়ে নিকটবর্তী একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যখন নিয়ে যায় তখন দেখা যায় সেটি একটি অ্যাব’রশন ক্লিনিক। রিসেপশনিস্ট জিজ্ঞেস করছে, কী অ্যাবরশন করবেন ছেলে না মেয়ে?সেই সময় নন্দিনী ভয় পেয়ে গিয়ে নবাব কে জিজ্ঞেস করে আপনি আমাকে শেষ পর্যন্ত এখানে আনলেন?
এরপরে কী হবে সেটা দেখার জন্য আপনাকে কিন্তু নবাব নন্দিনী দেখতেই হবে। কারণ গল্পের এত বড় পরিবর্তন আমরা কেউই আশা করিনি আর এই জিনিসটা বাংলা ধারাবাহিকে একদম ইউনিক দেখানো হচ্ছে। হয়তো এরপরে নন্দিনী নবাবের নামে বদনাম রটবে অথবা অন্য কিছু হবে।