টলিউডের এই মুহূর্তে অন্যতম প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর নাম। পরিচয় দিতে নামটাই যথেষ্ট এই নায়িকার। তিনি হলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। এই নায়িকা কে চেনেনা বাংলা সিনেমাপ্রেমি দর্শকদের মধ্যে এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া খুব দুষ্কর।
শুভশ্রী বরাবর দুঃসাহসী। তাই কেরিয়ার মধ্য গগনে থাকাকালীন বিয়ে করে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক কিংবা হিন্দু হয়েও ছেলেকে নিয়ে মসজিদে যাওয়া হোক, সর্বক্ষেত্রে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি নিজের শর্তে বাঁচেন। কিন্তু এবার বিষয়টা সম্পূর্ণ অন্যরকম হয়ে গিয়েছে।
আসলে কিছুদিন আগে অভিনেত্রী সদ্য মা হওয়ার পর ইউভান এবং স্বামী ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে নিয়ে মসজিদে গিয়েছিলেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে। সেই ছবি নেট মাধ্যমে শেয়ার করার পর চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল গোটা পরিবারকে। হিন্দু হয়েও কেন ধর্মবিরুদ্ধ কাজ করছেন তিনি এ প্রশ্ন উঠেছিল বারবার।
এবার আবার একবার সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল নায়িকাকে। মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি দিন আর তারপরেই মা দুর্গার আগমনী ঘন্টা বেজে যাবে মহালয়ার পুণ্য লগ্নে। এমন পবিত্র দিনে টেলিভিশন জুড়ে বিভিন্ন রূপে মা দশভুজাকে দেখতে পাই আমরা। সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী রূপে দেখা দেবেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। একটি প্রথম শাড়ির বাংলা চ্যানেল মহালয়ার সকালে এই সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যা ইতিমধ্যেই প্রচারিত হয়ে গেছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।
এবার এই নায়িকাকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য। তাঁকে ঘিরে নেট দুনিয়া জুড়ে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে #বয়কট। দোষ একটাই তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও মসজিদে গিয়েছিলেন আর এবার দুর্গা হতে চলেছেন তিনি। সাম্প্রদায়িক বিশ্বাসে আঘাত হেনেছেন অভিনেত্রী এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
নেট মাধ্যম জুড়ে ভাইরাল এমন কিছু কমেন্ট। দিবাকর দেবনাথ হিন্দু নামক একটি পেজ থেকে এই মন্তব্য প্রথম শেয়ার করা হয়েছিল যেখানে অভিনেত্রীকে বয়কট করার ডাক ওঠে। অনেকেই এই ব্যক্তিত্বের মানসিকতাকে সমর্থন জানিয়েছে তবে প্রচুর মানুষ নিন্দাও করেছে। যারা এর বিপক্ষে তাদের বক্তব্য এরাই বেশি ধম্ম ধম্ম করে যুদ্ধ বাধায়। হিন্দু ধর্ম নিয়ে এরাই ভণ্ডামি বেশি করে। এবার প্রশ্ন নেট দুনিয়ার চাপে মহালয়ার ঠিক প্রাক মুহূর্তে এমন ঘটনায় কোনো বিপরীত প্রভাব পড়বে না তো?