Mithai: সিরিয়ালে মিঠাই যতই হম্বিতম্বি ভাব দেখাক আসলে সে ছোট্ট বাচ্চা! সেটে ঠাম্মি না খাইয়ে দিলে হজম হয় না ভাত! ‘যতসব ন্যাকামো, কচি খুকি সাজলেই হল?’, কটাক্ষ নিন্দুকদের

এই মুহূর্তে জি বাংলার যে কটা সিরিয়াল দর্শকদের সবথেকে পছন্দ তার মধ্যে অন্যতম হলো মিঠাই। মিঠাই রানী এবং উচ্ছে বাবুর পাশাপাশি মিঠাইয়ের শ্বশুরবাড়ির মোদক পরিবারের প্রতিটা সদস্য দর্শকদের অত্যন্ত কাছের এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চরিত্রের জন্য।

দর্শকদের মতে একান্নবর্তী পরিবারের স্বাদ ফিরিয়ে এনেছে মিঠাই রানী এবং মোদক পরিবার। তার উপরে এত জন লোক একসঙ্গে একই বাড়িতে থাকলেও তাদের মধ্যে কোন নিজের সম্মানও অালিন্য নেই অর্থাৎ সাংসারিক ঝামেলা অশান্তি দেখানো হচ্ছে না ধারাবাহিকে। এমন গল্প এবং এমন বিষয়বস্তু এর আগে বাংলা ধারাবাহিকে খুব একটা দেখা যায়নি।

পর্দায় যেমন মোদক পরিবারের সবাই মিলেমিশে থাকে তেমন পর্দার বাইরেও সকলের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্কের মতোই একটা সুন্দর মিষ্টি বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আর এটা মাঝে মাঝেই সিরিয়ালের বিভিন্ন অভিনেতা অভিনেত্রীর ভিডিও থেকে জানা যায় বা দেখা যায়।

Bengali serial

এর আগে আমরা আপনাদের জানিয়েছিলাম যে পর্দার দাদু আর উচ্ছে বাবুর মধ্যে কেমন সম্পর্ক। আজকে আপনাদের জানাবো বাস্তবে ঠাম্মি এবং মিঠাইয়ের মধ্যে কেমন সম্পর্ক। এই বিষয়ে ঠাম্মি চরিত্রে অভিনয় করা স্বাগতা বসু নিজেই এক সাক্ষাৎকারে মন খুলে জানিয়েছেন মিঠাইয়ের ব্যাপারে।

Bengali serial
স্বাগতা স্বীকার করেছেন যে পরিবারের সবাই বাস্তবে বন্ধুর মত মিলেমিশে থাকেন এবং প্রচুর গল্প আড্ডা করেন। বিশেষ করে মিঠাইয়ের সঙ্গে স্বাগতা সম্পর্ক একেবারেই বন্ধুর মত। দুজনের মধ্যে বয়সের বিস্তর ফারাক রয়েছে কিন্তু সেটার প্রভাব কোনদিন তাঁরা পড়তে দেননি নিজেদের সম্পর্কের উপর। উপরন্তু মিঠাইয়ের একটা গোপন তথ্য ফাঁস করে দিলেন স্বাগতা বসু।

Bengali serial
মিঠাইরানির পর্দার ঠাম্মি জানিয়েছেন সিরিয়ালের সেটে সৌমি পুরো বাচ্চাদের মতো আচরণ করে। উদাহরণ দিয়ে প্রবীণ অভিনেত্রী জানিয়েছেন মিঠাইকে কেউ যদি ফল,মিষ্টি হোক কিংবা মাছ ভাত খেতে বলে তাহলে সৌমি সেটা একেবারেই খেতে পারে না। কিন্তু কেউ যদি তাঁকে নিজের হাতে ভাত মাখিয়ে খাইয়ে দেয় তাহলে গোটা ভাত হজম হয়ে যায় তাঁর। অর্থাৎ এই বয়সেও মিঠাই কে মায়ের মত স্নেহ করতে হয় শুটিং এর সেটে।