দেখতে দেখতে আর কটা দিন বাদে দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপূজো মানেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে কিশোর কিশোরীর ভিড়। এটি আমাদের বাঙ্গালীদের কাছে সব সময়ই অন্য আমেজ। দুর্গা মা যে পাঁচটা দিন আসেন সেই কদিন আমরা বাঁধনছাড়া হয়ে থাকি। নেই কোন স্কুলের চিন্তা ,নেই কোন পড়ার চাপ, নেই বাবা মায়ের বকুনির ভয়। সবকিছু থেকে দূরে ভাই বোন, দাদা দিদি আর বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিয়েই চলে এই কটা দিন। আড্ডা খাওয়া দাওয়া এইসব নিয়েই কেটে যায় এই পাঁচটা দিন।
আর সেটা যেমন আমাদের সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ ঠিক তেমনভাবে তারকাদের জন্যেও। বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের জীবন থেকে আস্তে আস্তে মলিন হয়ে যায় এইসব আনন্দগুলো। কাজের চাপ ভবিষ্যতে চিন্তা এসবের মধ্য থেকে আর পুজোটাকে সেভাবেই উপভোগ করা ওঠে না। এমন ভাবে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরা আছেন যারা তাদের ছোটবেলার দুর্গাপূজোটা খুব সুন্দর কাটালেও বর্তমানে কাজের চাপে সেভাবে উপভোগ করে উঠতে পারে না। আর সেই সব ছোটবেলার স্মৃতি সংবাদমাধ্যমের সামনে পুজো আসার আগে ভাগ করে নেন।
এমনভাবেই বেশ কিছুদিন আগে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী সোনামণি সাহা তার ছোটবেলার দুর্গাপুজোর স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “মোহর” থেকে তার অভিনয়ে জনপ্রিয়তা। তারপরে সম্প্রতি তিনি স্টার জলসার একটি ধারাবাহিক “একাদোক্কা” তে অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিকের বিপরীতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন। বাংলা টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী বর্তমানে কলকাতায় থাকলেও তার আসল বাড়ি মালদা। তিনি সেখানেই তার শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন।
সেই সব সময়েরই স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, সে সময় দশমী মানে একটা কষ্টের দিন। বুকের ভেতরটা একটা কষ্ট দলা পাকিয়ে উঠতো এই দিন। মনে হতো জীবন থেকে যেন কি একটা চলে যাচ্ছে। তবে যেহেতু পুজোটা সেভাবে এখন আর উপভোগ করা হয় না তাই দশমীতে সেই খালি লাগাটা নেই। এছাড়া কৈশোর জীবনের পুজো প্রেম নিয়ে তিনি বলেন, প্যান্ডেলে রোজ বান্ধবীদের সাথে বসে থাকতেন তিনি এবং দূর থেকে দেখতেন ছেলেরা আসছে। রোজ দেখতেন ওই ছেলেগুলো মন্ডপের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। যদিও ওই চোখে চোখ পড়া প্রেমটা শুধু পূজোর দিনগুলিতেই থাকতো। পরে আর সেগুলোর তেমন রেশ থাকত না।