স্টার জলসা জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আলতাফড়িং’। এটি শুরু হয়েছিল একটি অন্যরকম গল্প নিয়ে। বর্তমানে সকল ধারাবাহিকে নারী কেন্দ্রিক হলেও কোথাও নারীদের স্পোর্টস নিয়ে সেভাবে দেখা যায় না। আর যদিও বা স্পোর্টস নিয়ে কোন ধারাবাহিক হয়ে থাকে তা হয় ক্রিকেট বা ফুটবল বা ব্যাডমিন্টন নিয়ে। কিন্তু এই ধারাবাহিকটা শুরু হয়েছিল মেয়েদের জিমন্যাস্টিক নিয়ে। প্রসঙ্গত এই ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছে অভিনেতা অভ্রদীপ চ্যাটার্জি এবং অভিনেত্রী খেয়ালী মন্ডল।
একটি সাক্ষাৎকারে খেয়ালী জানান যে তিনি পঞ্চম শ্রেণী থেকে জিমন্যাস্টিক করেন। কলেজে পড়তে পড়তেই হঠাৎই ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ আসে তার কাছে। সেখান থেকেই এখন তিনি বাংলার দর্শকের কাছে ফড়িং হয়ে উঠেছেন।
স্টার জলসা এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল জিমন্যাস্টিক এসোসিয়েশন আয়োজন করেছিল সারা বাংলা আমন্ত্রণমূলক মহিলা জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতা। আর সেখানেই অভিনেত্রী বাস্তবের ফরিংদের সাথে একাধিক সময় কাটালেন।
সম্প্রতি চ্যানেলের তরফ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে পর্দার ফড়িং অর্থাৎ অভিনেত্রী খেয়ালী মন্ডল বলছেন , ‘জিমন্যাস্টিক একটা এমন স্পোর্টস যেখানে প্রচুর শারীরিক ফিটনেস লাগে। আর অমানসিক পরিশ্রম না করলে এই স্পোর্টসে উন্নতি করা যায় না। রাজ্য জুড়ে বাংলার মেয়েরা সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে রেখে জিমন্যাস্টিক প্র্যাকটিস করে এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পদক জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে।’ তিনি সেই প্রতিযোগিতায় গিয়েছিলেন বাস্তব জীবনের যারা জিমন্যাস্টিক করেন এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তাদেরকে উৎসাহ দিতে। সেই প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে মেডেল এবং পুরস্কার দিয়েছেন এবং তাদের সাথে ফটো তুলেছিন।
স্টার জলসাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন একজন জিমন্যাস্টিক প্রশিক্ষক মৌনি কর্মকার। তার কথায় বাংলা জুড়ে প্রতিভার অভাব নেই কিন্তু যারা জিমন্যাস্টিক করতে আসেন তারা বেশির ভাগই নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে আর তাদের যে পরিমাণ পুষ্টির দরকার পড়ে এবং চিকিৎসার জন্য যা খরচের দরকার পড়ে সেটি তারা জোগাড় করতে পারে না।
আর সেই কারণেই অনেকেই জিমন্যাস্টিক থেকে পিছিয়ে যান। স্টার জলসা এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল জিমন্যাস্টিক এসোসিয়েশন্স এর পক্ষ থেকে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাটা এমনই সব প্রতিভাদের আরো উৎসাহ দেবে। এই প্রতিযোগিতার খবর সামনে আসতেই চ্যানেলের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। জনপ্রিয় চ্যানেলের পক্ষ থেকে এই প্রতিযোগিতার কারণে যুব প্রতিভারা আরো বেশি উৎসাহী হয়ে তাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।