বাংলা টেলিভিশনে দুই জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’ এবং ‘গৌরী এলো’। দুটোই জি বাংলায় সম্প্রচারিত হয়। ‘মিঠাই’ প্রায় ৫৬ সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থান’ দখল করেছিল আর উল্টো দিকে ‘গৌরী এলো’ এখনকার টিআরপি তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে। দুটি ধারাবাহিককেই বাংলার দর্শক বেশ জনপ্রিয়তা দিয়েছে। তবে বর্তমানে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গেছে দর্শকের কাছে।
প্রসঙ্গত ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছে অভিনেতা আদৃত রায় এবং অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু। এবং উল্টোদিকে ‘গৌরী এলো’ ধারাবাহীকে মুখ্য চরিত্রের অভিনয় করছে অভিনেতা বিশ্বরূপ চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী মোহনা মাইতি। এই দুটি জুটিকেই বাংলার দর্শক বেশ ভালোবাসা দিয়েছে ধারাবাহিক শুরুর থেকেই। তবে বিশ্বরূপ এবং মোহনার ক্যামেরার সামনের সম্পর্কের মত পিছনের সম্পর্ক তেমন সুন্দর কিন্তু আদৃত এবং সৌমিতৃষার ক্যামেরার পিছনের সম্পর্ক একদমই ভালো নয় তা অনেকবারই প্রকাশ পেয়েছে দর্শকদের সামনে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে বিশ্বরূপ এবং মোহনাকে একসঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা গেছে। তাদের দুজনের অফ স্ক্রীন রসায়ন দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছে। একজন তাদের সাক্ষাৎকারের দুটি ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের খুবই প্রশংসা করেছে। তার কথায় অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর বাস্তবে বয়সের মধ্যে প্রায় ১৩ বছরের অন্তর। কিন্তু তারপরেও বয়সের অন্তরটাকে তারা পাশ কাটিয়ে দুজনের মধ্যে কত সুন্দর রসায়ন তৈরি করেছে। তিনি ওই পোস্টে এও উল্লেখ করেন যে ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু মুখ্য চরিত্রের অভিনেতাদের শেখা উচিত বিশ্বরূপের কাছ থেকে।
প্রসঙ্গত এখানে অনেকেই বলছেন যে তিনি মিঠাই এবং সিড অর্থাৎ আদৃত এবং সৌমিতৃষার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। কারণ বাস্তব জীবনে তাদের বয়সের অন্তর ৮ বছর। কিন্তু তারপরেও তারা দুজন ধারাবাহিকে প্রথমদিকে দুজনের সম্পর্ক অফ ক্যামেরায় ভালো থাকলেও পরবর্তীকালে ব্যক্তিগত কারণে তারা আর একসাথে অফ ক্যামেরার সামনে আসতেন না। তাদের অনুরাগীরা বারবার তাদেরকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুরোধ করার পরেও তারা একে অপরের সঙ্গে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেনি। অনেকেরই মত যে এদের দুজনকে কিছু বলে লাভ নেই কারণ হাজার হাজার ফ্যানের কথা ভেবেও তারা দুজন যদি একবার মুখোমুখি বসতো তাহলে হয়তো তাদের মধ্যে যে ঝামেলাটা রয়েছে সেটা মিটে যেত। আর অনেকেই আছেন যারা ‘মিঠাই’য়ের জনপ্রিয়তা কমার জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী এই খারাপ সম্পর্ককেও দায়ী করে থাকেন।
