এই মুহূর্তে দেশজুড়ে একটা রং নিয়ে বিতর্ক। একটা রং যে এত বড় বিতর্কে ঝড় তুলতে পারে তা আগে আশা করা যায়নি। যদিও গোটা ভারত জুড়ে রং নিয়েই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির পরিচিতি তৈরি হয়েছে। রং হিসেবে বলতে গেলে গেরুয়া শিবির সবুজ শিবির, লাল শিবির আলাদা আলাদা করে ভাগ করে দেওয়া হয় যেখানে প্রথম দলের লোক হলো বিজেপি, দ্বিতীয় দলের লোক হলো তৃণমূল সমর্থক এবং তৃতীয় দলের লোক হলো সিপিএম সমর্থক
তবে একটা সিনেমার কারণে এবার বিজেপি-তৃণমূল মুখোমুখি। সম্প্রতি পাঠান সিনেমার প্রথম গানের ঝলক প্রকাশ পেয়েছে। দীপিকা-শাহরুখ বহুদিন পর আবার নতুন জুটি বেঁধে ফিরে এসেছেন। বেশরম রং নিয়ে মাতামাতি তুঙ্গে। গেরুয়া বি’কি’নিতে হ’ট রূপে দীপিকা এসেছেন ফিরে।
একদল বলছে আগুন লাগছে তাদের কেমিস্ট্রি আবার একদল বলছে রং নিয়ে এভাবে রাজনীতিকে না টানলেই চলত। আসলে গেরুয়া রঙের স্বল্প পোশাক বি’কি’নি পরে এক ভারতীয় নারী নাচ করছে, শরীরের নানা অঙ্গ স্পষ্ট হয়ে উঠছে এবং কখনো তাকে জড়িয়ে ধরছে আবার কখনো বিভিন্ন অ’শ্লী’ল অঙ্গভঙ্গি করছে শাহরুখ এই দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।
এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং TMC সাংসদ নুসরত জাহান। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে ‘বয়কট পাঠান’ ট্রেন্ড। নুসরতের মতে এক দল তাঁদের মর্জি অনুযায়ী সবাইকে চালাতে চাইছে। একটা নির্দিষ্ট ছবি তৈরি করার ছক মানুষের মস্তিষ্কে। বললেন ওদের তো সবেতেই সমস্যা। যে মহিলারা হিজাব পরে ওদের তাঁদের নিয়েও যেমন সমস্যা আছে, আবার যারা বিকিনি পরেন তাদের নিয়েও সমান সমস্যা আছে। ওরা আদতে এই যুগেও দাঁড়িয়ে চাইছে যে ভারতীয় মহিলারা কী পরবেন আর পরবেন না সেটা ঠিক করে দিতে।
এদিকে অভিনেত্রী মুখ খুলতেই পাল্টা তাকে আক্রমণ করতে শুরু করলো নেট দুনিয়া। তাদের দাবি এমনিতে বসিরহাটে সাংসদ হিসেবে দেখা যায় না নায়িকাকে বা কালে ভদ্রে দুই-একবার দেখা যায় কিন্তু বিতর্কের মধ্যে না ঢুকলেই নয়। তার উপরে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও সব সময়ই সক্রিয় থাকেন তিনি।