বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা জানেন প্রত্যেক দিনই দারুণ দারুণ চমক অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। আর তাই গল্প একঘেয়ে হয়ে উঠলেও ধারাবাহিকটির দর্শক প্রিয়তা কিন্তু হারিয়ে যায়নি।
টিআরপি তালিকাতেও ঝোড়ো পারফরম্যান্স করছে এই ধারাবাহিকটি। এই সপ্তাহেও ৯ রেটিং পয়েন্টে নিয়ে টিআরপি তালিকায় শ্রেষ্ঠ অনুরাগের ছোঁয়া। যদিও দর্শকরা একঘেয়ে গল্প থেকে আশঙ্কা করেছিলেন যে হয়ত এই সপ্তাহের স্থানচ্যুত হতে যেতে পারে অনুরাগের ছোঁয়া কিন্তু না এখনও দর্শকদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে এই ধারাবাহিকটি।
তবে ধারাবাহিকের নায়ক যেভাবে নায়িকাকে অপমান এবং অপদস্থ করে চলেছে তাতে করে এই ধারাবাহিক আর কতদিন নিজের শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারে সেটাই এখন দেখার। সূর্যর ক্রমাগত দীপাকে ভুল বোঝা, অপমান করা আর ভালো চোখে দেখছেন না দর্শকরা। তারা চাইছেন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব নায়ক নায়িকার মধ্যে যেন মিলন দেখানো হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মিশকা একটি ভুল রিপোর্ট দেখিয়ে সূর্যকে বলেছিল যে তার মধ্যে বাবা হওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই সে কোনদিনই বাবা হতে পারবেনা। আর সেই কারণবশতই সূর্যর ধারনা হয় যে সোনা এবং রূপা কোনভাবেই তার এবং দীপার সন্তান হতে পারে না। কারণ সন্তান জন্ম দেওয়ার যোগ্যতাই নেই তার।
রিপোর্ট দেখে কেন চমকে উঠল সূর্য?
কিন্তু এবার গল্পে আসছে টুইস্ট। মিশকার ভন্ডামি এবার সামনে আসতে চলেছে। মিশকার টেবিলে সূর্যর নামে একটি রিপোর্ট পড়ে থাকতে দেখে একজন নার্স এসে তা সূর্যকে দেয়। আর সেই রিপোর্ট দেখে হতবাক হয়ে যায় সূর্য। কারণ সেখানে স্পষ্ট যে সূর্যর মধ্যে বাবা হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। মিশকা ভুল বুঝিয়েছে সূর্যকে। বন্ধুকে বিশ্বাস করে ঠকে গিয়ে মনোকষ্টে ভুগছে সূর্য। একইসঙ্গে দীপাকে অবিশ্বাস করার কষ্টও কুরে কুরে খাচ্ছে তাকে।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!