শাশুড়িকে মাথার দিব্যি দিয়ে পিসি ঠাকুমার কলকাতা যাত্রা আটকাল সন্ধ্যা! কোলে তুলে বিছানায় নিয়ে গেল নীল! দারুণ পর্ব ফাঁস

স্টার জলসার পর্যায়ে শুরু হওয়া ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara) অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের মন জিতে নিতে সক্ষম হয়েছে। এই ধারাবাহিকটি খুব অল্প সময়ে ব্যাপক সাফল্য হস্তগত করেছে। আসলে দারুণ গল্পের প্লট আর প্রত্যেকের অসামান্য অভিনয়ের সৌজন্যে এই ধারাবাহিকটি খুব অল্প সময় দর্শকদের মন জিতে নিতে সক্ষম হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ধারাবাহিকটির মধ্যে দিয়ে বেশ অনেকদিন পর কামব্যাক করেছেন অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিপাড়ার অন্যতম প্রতিভাবান এবং দাপুটে অভিনেত্রী হলেন অন্বেষা। নিজের স্বভাবসিদ্ধ অভিনয়ের মাধ্যমে অচিরেই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন তিনি। রাগ, দুঃখ, সুখ, আনন্দ, কৌতুক প্রত্যেকটা অনুভূতিকেই অসামান্য দক্ষতায় পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন তিনি।

কি কারণে সাফল্য পাচ্ছে সন্ধ্যাতারা?

নিঃসন্দেহে সন্ধ্যাতারা ধারাবাহিক হিট হওয়ার অন্যতম কারণ অন্বেষা। একইসঙ্গে এই ধারাবাহিকে এমন এক শাশুড়ির চরিত্র দেখানো হচ্ছে যিনি হয়তো একজন মেয়ের জীবনে মায়ের থেকেও বেশি। এত ভালো শাশুড়ি হয়? এই ধারাবাহিকটির প্রত্যেকটা এপিসোডে যেভাবে সন্ধ্যা এবং বিজয়া মাঠানের মিষ্টি সম্পর্ক তুলে ধরা হচ্ছে তা দেখে দর্শকদের চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে।

আসলে নায়ক আকাশনীলের পছন্দ সন্ধ্যার বোন তারা কে হলেও আকাশের মায়ের পছন্দ ছিল সন্ধ্যা। আসলে দৃপ্ত চেহারার, ইস্পাত কঠিন মানসিকতার অথচ ভালো মনের এক মেয়ের সন্ধান করছিলেন তিনি নিজের ছেলের জন্য। আর সেই সব গুণ তিনি খুঁজে পান সন্ধ্যার মধ্যে। সন্ধ্যাকে নিজের মেয়ের থেকেও বেশি ভালোবাসেন তিনি।

গ্রামের একজন মান্যগণ্য মানুষ এই বিজয়া মাঠান। গোটা গ্রাম তাকে শ্রদ্ধা করে।‌ তবে তার নিজের বাড়িতেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার লোকের অভাব নেই। তার স্বামী থেকে শুরু করে শ্বশুরবাড়ির বেশিরভাগ মানুষ সন্ধ্যাকে আকাশনীলের বউ করে নিয়ে আসার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। সন্ধ্যাকে থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিপদের মুখে ফেলতে তৎপর সন্ধ্যার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

পিসি ঠাকুমার যাত্রা কেন আটকালো সন্ধ্যা?

সম্প্রতি আকাশনীলের বন্ধুদের সামনে সন্ধ্যাকে অপদস্থ করার জন্য সন্ধ্যার খাবারে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে দেয় পিসি ঠাকুমা। যার ফলে একবাড়ি লোকের সামনে মাতলামো করে সন্ধ্যা।‌ আকাশের গায়ে বমি টমি করে একসা কান্ড ঘটায় সে। ‌কিন্তু না রেগে যায়নি আকাশনীল। সে বুঝে ছিল সন্ধ্যা নিজে এই ঘটনা ঘটাতে পারে না। এর পেছনে অন্য কারর হাত রয়েছে। এরপর‌ই সত্য উৎঘাটন করতে নেমে পড়ে সে। পিসি ঠাকুরমার বালিশের তলা থেকে উদ্ধার হয় মদের বোতল।‌ এবং সে তার মা বিজয়া মাঠানকে জানিয়ে দেয় যে এই কর্মকাণ্ডের পিছনে পিসি ঠাকুমা জড়িয়ে‌। এরপর পিসি ঠাকুমাকে কলকাতায় ছেড়ে আসার নিদান দেন বিজয়া মাঠান। যথারীতি কুটনি পিসি ঠাকুমার চলে যাওয়ার ঘটনায় দুঃখিত হয়ে পড়ে বাড়ির অন্যান্য কুটনি সদস্যরা। কিন্তু এরই মাঝে তার কাটে সন্ধ্যার। শাশুড়িকে দিব্যি দিয়ে অপরাধী পিসি ঠাকুমার কলকাতা যাত্রা আটকায় সন্ধ্যা। কিন্তু কেন? কী পরিকল্পনা রয়েছে সন্ধ্যার মাথায়?