বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) দুনিয়ায় এই মুহূর্তে অসংখ্য অজস্র সব বাংলা ধারাবাহিক (Bengali Serial) আসছে যাচ্ছে। অর্থাৎ একটি ধারাবাহিককে জনপ্রিয় হতে গেলে খুব বেশিদিন সময় দেওয়া যাবে না। অল্প সময়ের ব্যবধানেই মন জিতে নিতে হবে সেই ধারাবাহিককে। এমনটাই দস্তুর। আর তা যদি না হয় তাহলেই বিদায়।
সন্ধ্যাতারায় (Sandhyatara) এখন কি গল্প দেখানো হচ্ছে?
অর্থাৎ ধারাবাহিক গুলির হাতে সময় কিন্তু খুবই কম থাকে। এই যেমন জলসার পর্দায় মাত্র কয়েক মাস আগে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা। বাংলা টেলিভিশনের দুই পোড় খাওয়া নায়িকা এবং এক নবাগত নায়ককে নিয়ে এই ধারাবাহিকের পথ চলা শুরু হয়েছিল। আর যথারীতি তাতে মেলে সাফল্য।
এই ধারাবাহিকে মূল নায়িকা চরিত্র অবতীর্ণ হয়েছেন অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা। জি বাংলার পর্দায় এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিক পরবর্তী জলসার পর্দায় সন্ধ্যাতারা ধারাবাহিকে তাকে দেখে কার্যত ভীষণ খুশি হয়েছিলেন তার ভক্ত দর্শকরা। সেই সঙ্গে অপর নায়িকা হিসেবে ফিরেন অভিনেত্রী অমৃতা দেবনাথ।
এই ধারাবাহিকে দেখানো হয় সন্ধ্যা এবং তারা দুই বোন। সন্ধ্যার গায়ে গ্রামের মেঠো গন্ধ লেগে রয়েছে। অন্যদিকে গ্রামের মেয়ে হলেও শহরে গিয়ে পড়াশোনার দরুণ শহুরে ধ্যান-ধারনা আদব-কায়দায় শিক্ষিত হয়ে উঠেছে তারা। আর এই তারারই প্রেমে পড়ে নায়ক আকাশনীল। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তারার দিদির সন্ধ্যার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় আকাশের।
সন্ধ্যা কি জেনে যাবে নীল-তারার লুকোনো সম্পর্কের কথা?
তারা সমস্ত সত্যিটা জানলেও সন্ধ্যা এবং আকাশ তাদের মধ্যেকার এই জটিল সম্পর্কগুলো নিয়ে অবগত নয়। আর সেই কারণেই সন্ধ্যার বিয়ের পর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে তারা। কিন্তু নাছোড় আকাশনীল। সে যে দেখা করবেই তারার সঙ্গে। আর তাই কলকাতায় আসে সে। তার পিছু নিয়ে কলকাতায় চলে আসে সন্ধ্যাও।
কিন্তু কলকাতায় এসে সে হারিয়ে ফেলেছে স্বামীকে। কলকাতার রাস্তায় তাকে একাকি বসে কাঁদতে দেখে তার ফায়দা তোলার চেষ্টা করে কিছু দুষ্কৃতী। যথারীতি তাদের সবক শিখিয়েছে সন্ধ্যা। কোনওভাবে সে পেয়ে গেছে তারার মেসের সন্ধান। আর সেই মেসে যাওয়ার জন্যই সে অনুরোধ করে একজন পুলিশকে। যদিও পুলিশ তাকে মেসে নিয়ে যাবে না বললে সে সোজা পুলিশকেই হুমকি দিয়ে বলে সে তার নামে থানায় এফআইআর করবে। তারার মেসে গিয়ে কি নীলকে দেখতে পাবে সন্ধ্যা? সে কি জেনে যাবে নীল-তারার সম্পর্কের কথা?
