বাড়িছাড়া হয়ে হোটেলে টাকা না দিয়ে হাভাতের মত খাবার খাচ্ছে মিশকা! ওদিকে জমিয়ে রোম্যান্স করছে সূর্য-দীপা! দারুণ পর্ব আজ

সূর্য-দীপা এবং মিশকার সম্পর্কে টানাপোড়েন নিয়ে শুরু থেকে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) চলছে এবং এখনো সেই একই বিষয় ধরে রেখেছে। গল্পে আরো বেশি টুইস্ট এসেছে এবং গল্প আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে। আর সেই প্রমাণ পাওয়া যায় টিআরপি তালিকা দেখলেই। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে টিআরপিতে রীতিমতো ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছে এই সিরিয়াল।

বর্তমানে গল্পে এক নতুন টুইস্ট এনেছে মিশকা গর্ভবতী হয়ে। তার গর্ভে সূর্যের সন্তান তবে আইভিএফ পদ্ধতিতে সে মা হয়েছে। এই নিয়ে সেনগুপ্ত পরিবারেও টানটান উত্তেজনা চলছে। অন্যদিকে মিশকার এই অবস্থার কথা ভেবে দীপা তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছে।

অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব

আজকের পর্বে দেখা যাবে যে সেনগুপ্ত বাড়িতে আনন্দের জোয়ার। দুই মেয়েকে নিয়ে সূর্য আর দীপা খুশি। ওদিকে সোনা রুপা স্কুলে না যাওয়ার ফন্দি বানিয়েছে। সোনা বলছে তার পেটে ব্যথা এবং তারপরেই তার বাবাকে দেখাচ্ছে তার মাথায় ব্যথা। দীপা ওর মেয়ের কাণ্ডকারখানা বুঝে ফেলে এবং ওদেরকে বলে স্কুলে যেতেই হবে কিন্তু যেতে চায় না ওরা। অবশেষে সূর্য দীপাকে রাজি করায় যে ওদের স্কুলে যেতে হবে না, বরং সবাই মিলে ঘুরতে যাবে। ওদিকে সবাই রেডি হতে চলে যায় এবং দীপা যেই রান্না ঘরে যায় সকলের ব্রেকফাস্ট বানাতে সূর্য তার পিছু পিছু যায় এবং সেখানে দুজনে একান্ত সময় কাটায়। রোম্যান্স চলে দুজনের।

ওদিকে লাবণ্য সেন গুপ্তর এক বিশেষ সেমিনার থাকে এবং সেই হোটেলেই যায় মিশকা। এটা কাকতালীয় ব্যাপার নয় একেবারেই সবটা জেনে মিশকা সেখানে এসেছে লাবণ্য সেনগুপ্তকে বিরক্ত করতে। সে সেখানে ঢুকেই খাবারের অর্ডার দেয় আর ওদিকে লাবণ্য সেনগুপ্ত নিজের সেমিনার করছে মেয়েদেরকে নিয়ে। তারপর খাবারের অর্ডার দেওয়ার পরে খাবারের বিল মেটাতে গিয়ে শুরু হয় আসল সমস্যা। মিশকা দাবি করে তার কাছে টাকা নেই তাই পরে সে দ্বিগুন টাকা দিয়ে দেবে। ওদিকে হোটেলের ম্যানেজার পর্যন্ত চলে আসে টাকা চাইতে। রীতিমত কথা কাটাকাটি হয় দুই পক্ষের মধ্যে এবং হোটেলের ম্যানেজার সোজাসুজি বলে যে সে মিশকাকে চেনে এবং সমস্ত কিছু শুনেছে তাই তারপরে তাকে আর বিশ্বাস করা যায় না। এদিকে মিশকা প্রচন্ড রেগে যায় এবং সে বলে দুদিন ধরে খায়নি। তাই সে আগে খেয়ে নিক তারপর টাকা মিটিয়ে দেবে। এ সমস্ত ঝামেলা লাবণ্যর কানে যায় এবং সে বুঝতে পারে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। তাই সে একজনকে পাঠায় ব্যাপারটা দেখতে।

মিশকার ঝামেলা

সেই মহিলা এসে লাবণ্যকে বলে যে গর্ভবতী মহিলা এসেছে এবং খাবারের বিল নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কিছু টাকার জন্য হোটেলের লোক তাকে অপদস্ত করছে। লাবণ্য বরাবর মহিলাদের সাহায্য করাই বিশ্বাসী এবং এই কাজের জন্য একটি সংস্থা রয়েছে তার। লাবণ্য সেখানে চুপ করে বসে থাকতে পারে না এবং সেই মেয়েটিকে সাহায্য করতে চলে যায়। সেখানে যথারীতি মিশকা তাকে দেখে ফেলে কিন্তু লাবণ্য প্রথমে মিশকাকে দেখতে পায়নি এবং তাকে না দেখেই হোটেলের ম্যানেজারের হাতে কার্ড দিয়ে বলে যাবতীয় টাকা এখান থেকে নিয়ে নিতে। এরপর লাবণ্য সেখান থেকে চলে যাওয়ার আগে মিশকা তাকে ডাকে এবং ধন্যবাদ জানায় তাকে এই সমস্যা থেকে উদ্ধার করার জন্য। লাবণ্য আবার সেখানে মিশকাকে দেখে চমকে যায়। এরপরে মিশকা অসহায়ের মতো লাবণ্যর কাছে হাত জোড় করে আরো কিছু টাকা ধার চায় যাতে সে তার আর তার বাচ্চার খাবার জোগাড় করতে পারে। লাবণ্য তাকে বলে সিন ক্রিয়েট না করতে। মিশকা তাকে বলে তার মরতে ভয় নেই কিন্তু তার গর্বের সন্তান সেন গুপ্ত পরিবারের বংশধর তাই তাকে সে মেরে ফেলবে কি করে? লাবণ্য যথারীতি তার সঙ্গে কথা বাড়াতে চায় না কিন্তু এই কথা শুনে চমকে যায়। সূর্যদীপা সবাই চলে এসেছে সেখানে।