বে’য়া’দ’প পলাশের দিন শেষ! হাসপাতাল থেকে তাকে তাড়িয়ে দিল পরাগ!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন একটি চমক। পুতুলের বিয়ের জন্য মিষ্টি আনতে গিয়ে অ্যাকসিডেন্ট করেছে পরাগ। তখন সকলকে না বলে শিমুল এবং তার বান্ধবীরা পরাগকে নিয়ে ভর্তি করার হাসপাতালে। বিয়ের শেষে পলাশ হাসপাতালে পৌঁছালে সেখানে গিয়ে ঝগড়া, অশান্তি শুরু করে শিমুলের সঙ্গে। সকলকে বলে সে হাসপাতাল এবং শিমুলকে পুলিশকে দেবে। তখনই জ্ঞান ফিরে আসে পরাগের।

তখন পরাগকে শিমুলের মানে নানা কথা বলতে থাকে পলাশ। সে বলে শিমুল তাকে ইচ্ছে করে এইরকম একটি খারাপ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এমনকি কেউ না হওয়ার শর্তেও শিমুলকে তার বন্ড পেপারে সই করেছে। তখন পরাগ শিমুলকে বল সে ভুল করেছে শিমুলকে অবিশ্বাস করে। তাকে সে অনেক অপমান করেছে তাই শিমুল যেন তাকে ক্ষমা করে দেয়। তখন শিমুল পরাগকে বলে বিশ্রাম নিতে কিন্তু পরাগ বলে যে তাকে আজ সব কথা বলার সুযোগ দেওয়া হোক।

শিমুলকে পরাগ বলে সে তার ভাইয়ের এবং তার ভাইয়ের বউ আর্থাৎ প্রতীক্ষা মিলে সবসময় তার মন বিষিয়ে দেওয়ায় চেষ্টা করেছে, সবসময় খারাপ বলেছে শিমুলের ব্যাপারে। শিমুল সবসময় তাদের পরিবারে পাশে থেকেছে কিন্তু সে সবসময় শিমুলকে উল্টো পাল্টা কথা বলে অপমান করেছে আর এই সবটায় সে করেছে তার ভাইয়ের কথায়। সেটা শুনে অবাক হয়ে যায় পলাশ। ওদিকে সুচরিতা বলে শিমুল বলেই হতো এত করেছে তোমাদের পরিবারের জন্য।

সুচরিতা এও বলে যে তার জন্য অ্যাকসিডেন্ট হয় তখন তাকে বাঁচানোর জন্য আশেপাশে কেউ ছিল না, শিমুল আসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে আর হ্যাঁ এটা হয়তো সত্যি যে শিমুল তার প্রাক্তন স্ত্রী হিসেবে সই করেছে কিন্তু সেটা না করলে আজ তাকে প্রাণে বাঁচানো যেত না। বিপাশাও বলে তোমার সত্যিই সৌভাগ্য তুমি এইরকম এটি স্ত্রী পেয়েছিলে কিন্তু তুমি নিজেই তাকে হারিয়েছ। তখন পরাগ বলে সে সবটাই জানে। পলাশ আর প্রতীক্ষা আসলে তাকে বিষ খাইয়ে মেরে, তার শিমুলকে সেই কেসে ফাঁসিয়ে চেয়ে ছিল পুরো বাড়িটা দখল করতে।

সেই কথা শুনেই পলাশ অবাক হয়ে যায়। সে বলে “তুই এসব কি বলছিল দাদা!” পরাগ বলে সে যা বলছে ঠিকই বলেছে, সে সবটাই এখন বুঝে গেছে তাই সে আর তাদের কথায় কর্নপাত করবে না। সেটা শুনেই রেগে যায় পলাশ। নার্সকে পরাগ বলে শিমুলরা আসলেই যেনও তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়, তার পরিবারের কেউ এলে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার দরকার নেই আর তার মা এলে তাকে জানতে। সেটা শুনে রেগে গিয়ে পলাশ বলে সে দেখে নেবে, এই অপমান সে কিছুতেই ভুলবে না। তারপর সেখানে থেকে বেরিয়ে যায় পলাশ।

শিমুল পরাগকে আরাম করতে বলে চলে যায় ব্যানার্জী বাড়ি। সেখানে পুতুল তাকে বলে তার বিয়ে হয়ে গেছে। সেটা শুনে খুব খুশি হয় শিমুল। বিদায়ের সময় তীর্থঙ্করকে শিমুল বলে সে যেন পুতুলকে দেখে রাখে, পুতুলকে সব শিখিয়ে নেয়। তখন তীর্থও বলে কোনও চিন্তা না করতে সে পুতুলের খেয়াল রাখবে, পুতুলকে একদম সুস্থ করে তুলবে সকলকে প্রমাণ করে দেবে পুতুল কতটা যোগ্য মেয়ে। সেটা শুনে খুশি হন সকলেই। তারপর মধুবালা দেবীকে শিমুল বলে পরাগ সুস্থ আছে। কিন্তু বিপাশা তাকে বলে দেয় যে পলাশ হাসপাতাল গিয়ে কি কি করেছে।

আরো পড়ুন: অনুরাগের ছোঁয়ায় চরম সঙ্কটের মুখোমুখি দীপা! রূপার জন্য পা দিল কুমারের পাতা ফাঁদে! এবার কি হবে?

যেটা শুনে মধুবালা দেবী বলে এখন আর কিছুতেই তিনি শিমুলকে ভুল বুঝবেন না। তিনি এখন থেকে সবসময় তার পাশে থাকবে, তুতুলও বলে পলাশ যদি পুলিশ ডাকতে তবে তিনি যেন সবটা দেখে নেন তখন মধুবালা দেবী বলেন যে সবটা ঠিক গিয়ে যাবে তিনি শিমুলের পাশে আছেন। তারপর বিপাশা, শিমুল সহ সকলেই চলে যায় নিজেদের বাড়িতে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের পলাশ কি পরাগ আর শিমুলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আবার নতুন ফন্দি আটবে নাকি ভালো হয়ে যাবে?