কেমন জব্দ? অয়নকে শায়েস্তা করতে লটারিতে জেতা টাকা অয়নের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে উচিত শিক্ষা দিল পর্ণা!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) চলে এসেছে নতুন চমক। সৃজনের ঘর থেকে টিকিট চুরি করে নিয়েছে অয়ন। সৃজন নিয়ের টিকিট মিলছে জানতে পেরে ঘরের মধ্যেই আনন্দে নাচানাচি করতে থাকে। কিন্তু তখনই পর্ণা ড্রয়ার থেকে টিকিটটা বের করে দেখে অন্য নম্বর। সেটা দেখেই পর্ণা সৃজনকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করে সে কেন এত নাচানাচি করছে তাদের টিকিট তো মেলেনি। কিন্তু সৃজন তখন বলে এটা হতে পারেননা। সে দেখেই নিয়ে এসেছে টিকিট।

তখন পর্ণা সৃজনকে বলে ভালো করে মনে করতে তখন সৃজন বলে না সে নিশ্চিত তার টিকিটই লেগেছে। তখন সৃজন ভাবতে থাকে আর ওর মনে পরে অয়ন এসেছিল তাদের ঘরে। তখনই সৃজন পর্ণাকে বলে সে নিশ্চিত অয়নই তাদের টিকিট চুরি করেছে। তখন সৃজন নিচে নামে বাড়ি থেকে বেরোনোর জন্য আর দেখে অয়ন ফ্রিজ, টিভি কিনে এনেছে। সেটা দেখে অখিলেশ দত্ত তাকে জিজ্ঞাসা করে “এসব কি”। তখন অয়ন বলে তার স্ত্রীর গরমে কষ্ট হয় তাই যাতে সে ঠান্ডা জল খেতে পারে তাই ফ্রিজ আর তারা যাতে আয়েশ করে ঘরে টিবি দেখতে পারে তাই টিভি। তখন অখিলেশ দত্ত জিজ্ঞাসা করেন লাইটের বিল কে দেবে তখন অয়ন তাকে এক থোক টাকা দিয়ে বলে এটা তাদের ১০ মাসের লাইটের বিল। সেটা দেখে অবাক হয়ে যায় সকলে আর সৃজনের সন্দেহ বাড়তে থাকে।

সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যায় সেই লটারির টিকিটের দোকানে। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে অয়নের লটারি লেগেছে। তখন সৃজন দোকানের লোকটিকে জিজ্ঞাসা করে অয়ন এই দোকান থেকে টিকিট নিয়ে ছিল কিনা। তখন লোকটি তাকে বলে হ্যাঁ অয়ন এখান থেকে টিকিট নিয়ে ছিল। সবটা শুনে সৃজন বুঝে যায় অয়ন তার টিকিট চুরি করেছে আর সে মনে মনে বলে “আমি জানতাম পর্ণা, তুমি আমার জন্য লাকি।” সে বাড়ি গিয়ে পর্ণাকে সবটা বললে পর্ণা তাকে বলে তাদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই আর এটা তাদের কষ্টের টাকাও না চাই ছেড়ে দিতে কিন্তু সৃজনের মন মানতে চায়না।

তখন ও দেখে অয়ন নিচে কথার আওয়াজ শুনে পর্ণা আর সৃজন নিজে গেলে তারা দেখে একজন পুরোহিত এসেছেন। জেঠি অয়নকে জিজ্ঞাসা করে পুরোহিত কেন তখন অয়ন বলে বাবার শ্রাদ্ধ করব। সেটা শুনেই হাত থেকে বাসন পরে যায় জেঠির। তিনি জিজ্ঞাসা করেন এসব কি বলছে সে তখন অয়ন বলে তার বাবা তাকে অনেক অপমান করেছে, জুতো দিয়ে মেরেছে তাই আর সে বাবার ঘাট কাজ করব আর কাজ শ্রাদ্ধ। সেটা শুনেই তাকে বাড়িতে যায় সৃজন কিন্তু তখন অয়নের বডিগার্ড আসে অয়নকে বাচায়। সৃজন পর্ণাকে বলে কিছু করতে যা হবে বাকি হচ্ছে না আর পর্ণাও চোখের জল মুছে ভাবতে থাকে কিভাবে অয়নের টাকা কেড়ে নেবে।

রাতে পর্ণা, কৃষ্ণা, বর্ষা, রুচিরা, জেঠি সকলে যায় জল ঢালতে। সেখানে সৃজন আর পিকলুকে নাচতে দেখে পর্ণাকে কৃষ্ণা বলে তার নাচতে ইচ্ছে করতেও সে নাচতে পারবে না এখন তাই চুপ করে দাঁড়াতে। তারপর সকলকে কৃষ্ণা বলে তার বউমা অন্তঃসত্ত্বা তাই তাদের আগে যেতে দিতে পর্ণা কৃষ্ণাকে আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু কৃষ্ণা কোনও কথা শোনে না। তখন সকলকে গিয়ে জল ঢালে শিবের মাথায়। সৃজন বলে তার যেন ছেলে হয় এবং সে যেন এত ভালো হয় যে সবাই তাকে দেখে বলে সৃজন দত্তর ছেলে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন: অনুরাগে ধামাকা! জেল থেকে ফেরার মিশকা! পুরোনো কায়দায় ভিক্টরের কপালে বন্ধুক ঠেকিয়ে পালালো কুটনি

কৃষ্ণা বলে পর্ণার ছেলে হলে তিনি সেই সন্তানকে কেটে নেবেন এবং পর্ণাকে পাত্তা দেবেন না আর পর্ণা ভাবে তার সন্তান যেন সুস্থ হয়, ভালো থাকে। তাহলে কি মনে হয় তোমাদের কি হবে পর্ণার? পর্ণা কি পারবে টিকিটের টাকা উদ্ধার করতে?