Kheyali Mondal In Didi No. 1: জি বাংলার (Zee Bangla) তথা বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পুরোনো রিয়েলিটি শো দিদি নম্বর ১ (Didi No 1)। বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে শোটিকে অসাধারণভাবে সঞ্চালনা করছেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী। এই শোটিতে নানা সময় এসেছে টলিপাড়ার বহু জনপ্রিয় তারকারা। এসেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি, দেবশ্রী রায়, মিলি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান সহ টলিপাড়ার ছোটপর্দা থেকে বড় পর্দার একঝাঁক তারকারা।
তবে শুধু তারকা নয়, এই শোতে এসেছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মহিলারা। দিদির মঞ্চে তুলে ধরেছে নিজেদের দিদি নম্বর ১ হয়ে ওঠার কাহিনী। কৃষিবউ থেকে ডাক্তার সবার তাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কাহিনী শুনিয়েছে গোটা বাংলাকে। তারা বারবার প্রমাণ করেছে মেয়েরা চাইলে ঘর এবং বাইরের জগৎ সমানভাবে সামলাতে পারে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকে দারুন মজার মজার খেলা এবং অনেক অনেক পুরষ্কার।
দিদি নম্বর ১-এ খেয়ালী মন্ডল (Kheyali Mondal in Didi No.1)
দিদি নম্বর ১ সপ্তাহে সোম থেকে শনিবার সম্প্রচারিত হয় বিকেল সাড়ে ৫টায় এবং প্রতি রবিবার রাত সাড়ে ৮টায়। সম্প্রতি একটি পর্বে দিদি নম্বর ১এ আসছেন জি বাংলার ধারাবাহিকের বিশেষ বিশেষ তারকরা। এসেছেন আপনাদের প্রিয় ধারাবাহিক মিলির অভিনেত্রী খেয়ালী মণ্ডল (Kheyali Mondal), এসেছে আলোর কোলে ধারাবাহিকের আলো অর্থাৎ অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদার এবং ফুলকি ধারাবাহিকের শালিনী অর্থাৎ শার্লি মোদক। সেইদিন দিদির মঞ্চে অভিনেত্রীরা তুলে ধরেছেন নিজের জীবনের নানা কথা।
অভিনেত্রী স্বীকৃতি জানিয়েছেন “আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। আমার মুম্বাইতে কাজের প্লেসমেন্ট হয়েছিল। কিন্তু তার আগে জো’র করে আমার মা আমায় একটা বিউটি কনটেস্টে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে আমায় দেখে একটি প্রযোজনা সংস্থা থেকে ফোন করে বলে অডিশনের ভিডিও পাঠাতে। ভিডিও পাঠানোর ১৫ দিনের মাথায় আমার কাছে ফোন আসে যে আমি সিলেক্ট হয়ে গেছি। তবে আমার বাবা মা একদম আলাদা। আমার সবসময় বলত তোর নাচ ভালোলাগে সেটা কর। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারিং করবি কেন? আমিই সবাইকে বলেছিলাম ইঞ্জিনিয়ারিং করব। আমার বাবা মা আমায় একদমই জোর করে করায়নি ইঞ্জিনিয়ারিং আমি জোর করে করেছিলাম।”
আরো পড়ুন: প্রথম বউকে ডিভোর্স না দিয়েই দোলনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান দীপঙ্কর
অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন “আমি খুব ল্যা’দ খোড় খালি ঘুমাই আর টিভি দেখি।” অভিনেত্রী খেয়ালী মণ্ডল বলেছেন “আমার শুরু এখান থেকেই। ১০ বছর বয়সে ড্যান্স বাংলা ড্যান্সে ব্যাকআপ ড্যান্সার হিসেবে আমার কাজ শুরু। তারপর ২০২০তে ভোপাল থেকে আমি ন্যাশনাল আওয়ার্ড পেয়েছি। ওটা ছিল ইন্টারস্কুল আমি ব্যালে করেছিলাম। কলেজে উঠে ভেবেছিলাম কলকাতায় আসবো। এখানে আসার ১ মাস পরেই অভিনয়ের সুযোগ পাই। তবে আমিও খুবই ল্যা’দ খো’ড়। আমি একবার ১৮ ঘণ্টা ঘুমিয়েছিলাম দিয়ে খেয়ে-দেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছি।” তখন অভিনেত্রীর মা বলেন “ছোটবেলায় বাচ্চাদের পা নিচে থাকে। ওর মাথা নিচে ছিল পা ওপরে ছিল। তাই জিমন্যাস্টিকে দিয়েছিলাম। ওর পড়াশোনায় ভালো, নাচ ভালো কিন্তু বাড়ির কাজে একদম কম। জল খাওয়ার জন্যও দশবার বলতে হয়।”