বাংলা টেলিভিশন জগতের এক অতি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হলো দিদি নাম্বার ওয়ান। দিদির এর বিভিন্ন কাহিনী নিয়ে এই শো এবার নবম সিজনে পা দিয়েছে।
সঞ্চালিকা হিসেবে রচনা ব্যানার্জী তো রয়েছেন। তবে তার পাশাপাশি সাধারণ এবং তারকা দিদিরা এসে এই অনুষ্ঠানকে প্রতিদিন সমৃদ্ধ করে। বহু দিদির অনেক সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশ পায় এই মঞ্চে। তেমনই এক দিদি শম্পা মজুমদার। কাঁথা স্টিচের কাজের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
ছোটো থেকেই শম্পা সেলাইয়ের কাজ করতে ভালোবাসতেন। তাঁর বাড়ির মা, ঠাকুমা, দিদা, পিসিরাও খুব ভালো হাতের কাজ করতে পারেন। ১৯৮০ সালে তাঁর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে লেখক মনোজ বসুর দিদির আলাপ হয়। তিনিই শম্পা দেবীকে ওয়াল হ্যাংগিং তৈরি করার প্রথম অর্ডার দেন।
প্রথমে একটা-দুটো কাজ করতেন শম্পা। তারপর একদিন কুড়িটার উপর অর্ডার আসে তাঁর কাছে। এইভাবেই ধীরে ধীরে তিনি তাঁর ব্যবসা বৃদ্ধি করতে শুরু করেন এবং রেজিস্ট্রেশন পেয়ে যান। তারপর কলকাতার বাইরে বিভিন্ন জায়গা যেমন – পুনে, হায়দ্রাবাদ, কেরালা, দিল্লি, বোম্বে, কানপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় মেলায় যোগদান করতে শুরু করেন।
২০০০ সালেই রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পর জেলায় প্রথম হন শম্পা মজুমদার।
তিনি নিজের যে কাঁথাস্টিচের কাজ করার জন্যে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন সেটি হল একটি ওয়াল হ্যাংগিং। এতে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন ‘হান্টিং ফেস্টিভ্যাল’ অর্থাৎ আগেকার দিনে রাজারা শিকার করার পর বনের মধ্যে যে উৎসব করতেন সেটাই ফুটে উঠেছে তাঁর এই শিল্পে। দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে তিনি তার জাতীয় পুরস্কার এর সার্টিফিকেট প্রদর্শন করেন যা যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শকদের থেকে।