জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। মধ্যবিত্ত পরিবারের তিন বোনের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল এই সিরিয়াল। তবে বাড়ির বড় বোন রাইপূর্ণার বিয়ের দিন বদলে যায় সব হিসাব। নিজের প্রেমিকের সঙ্গে বোনের বিয়ে দিয়ে দেয় দায়িত্ববান রাই। বাবার চাকরি না পেয়ে শুরু হয় হাড় ভাঙা পরিশ্রম। অবশেষে এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে পরিবারের হাল ধরেছিল মেয়েটি।
‘মিঠিঝোরায়’ রাইপূর্ণার উত্তরণ!
রাইয়ের অফিসের বস ছিল অনির্বাণ। ক্রমে তাঁর সঙ্গেই ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ে সে। ভালোবাসা গড়ায় বিয়ে অবধি। অজস্র কঠিন পরিস্থিতিকে পার করে চার হাত এক হয় রাই -অনির্বাণের। কিন্তু ঘরের লক্ষ্মীর কদর বোঝেনি অনির্বাণ। বৌভাতের রাত থেকে রাইকে অপমানে জর্জরিত করে তোলে সে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করে রাই। কিন্তু অনির্বাণের হানা থামেনা! আবার রাই ফিরে আসে তাঁর তাসের ঘরে।
কিন্তু নিজের সঙ্গে আপোষ করে আবার ঠকে যায় নায়িকা! রাইয়ের শরীরে যখন বাসা কর্কট রোগ, তখন মিথ্যে প্রেগনেন্সির দায়ে শত অপমান সহ্য করতে হয় তাঁকে। অপমান করে সেই অনির্বাণ। অসুস্থ শরীরেই দ্বিতীয়বারের জন্য বাড়ি ছাড়ে রাই। স্রোত এবং বৌমনির সাহায্যে বোনের মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে অপারেশন হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে নায়িকা। নিজের ভুল বুঝতে পেরে রাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসে অনির্বাণ। কিন্তু রাই বুঝিয়ে দেয়, তাঁর আত্মমর্যাদা কতখানি। আর সে অনির্বাণের সংসারে ফিরবে না।
আর এখান থেকেই শুরু হয় রাইয়ের নতুন জার্নি। সুস্থ হয়ে কাজে মন দেবে রাই। নিজের মতো করে গড়ে তুলবে নিজের জগত। অনির্বাণকে ডিভোর্স দিয়ে একার জীবনে হাঁটতে শুরু করে রাই। সমস্ত অপমান বুকে জড়িয়ে উত্তরণের পথে হাঁটতে থাকে নায়িকা। একদিন সফল হবে সে। তার প্রতিফলন দেখা দিল ধারাবাহিকের নতুন প্রোমোতে।
আরও পড়ুন: ফুলকির’ কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে আসছে ‘দুই শালিক’! পাল্লাভারী কার? কার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে টেলি দর্শকদের?
যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে উপস্থিত হয়েছে রাই এবং অনির্বাণ। স্টেজে রাইকে সম্মানিত করছে তাঁরই স্বামী। নায়িকা একটু ইতস্ততঃ ঠিকই। তবুও হাসিমুখে গ্রহণ করে সম্মান। হাততালির বন্যায় ভেসে যায় রাইপূর্ণা। আর এখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে, রাইয়ের উত্তরণের মধ্য দিয়েই কি শুরু হচ্ছে ভালোবাসার নতুন অধ্যায়? নাকি অনির্বাণকে ছাড়াই এগিয়ে যাবে রাইয়ের জীবন? জানতে হলে দেখতে হবে ‘মিঠিঝোরা’।