অভিনয় দিয়ে তার যাত্রা শুরু হলেও সঞ্চালনাতেই তিনি নজর কেড়েছেন আপামর বাঙালির। বলাই বাহুল্য বাংলা টেলিভিশনের সফলতম মহিলা সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি (Rachana Banerjee) হলেও তাঁকে সমানে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন এই মহিলাও। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কার কথা বলছি। তিনি বাংলা টেলিভিশনে অন্যতম সফল সঞ্চালিকা। তিনি একদা রান্নাঘরের কর্ত্রী অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জি (Sudipa Chatterjee) । যদিও বরং এই মুহূর্তে টেলিভিশনে নয়, ইউটিউবে দেখা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাঁকে চেনেন না এমন মানুষ মেলা ভার। আসলে শুধুমাত্র সঞ্চালিকা হিসেবে নয়, একাধিক বিতর্কের কারণেও বিভিন্ন সময় শিরোনাম দখল করেছেন এই অভিনেত্রী।আসলে বলা যায় তিনি ভীষণ রকমের বিতর্কিত। তিনি যাই করেন বা যাই বলেন সেটাই কেমন যেন বেফাঁস হয়ে বিতর্কের জন্ম দেয়। যদিও এই অভিনেত্রীর ভক্ত সংখ্যা কিন্তু অসংখ্য।
আসলে বলা যায় একদিকে যেমন সবাই তাঁকে ভালোবাসেন আবার কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না। বলা হয়ে থাকে, ব্যক্তিজীবনে নাকি ভীষণ রকমের অহংকারী তিনি। আর মাঝেমধ্যেই তার সেই অহংকারী মনোভাব প্রকাশ পায় আর তখনই তিনি সমাজের রোষানলে পড়েন। তবে এইসবের বাইরেও তার একটি পরিচয় রয়েছে, তিনি পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী সুদীপা।
বলাই বাহুল্য, এখানেও রয়েছে বিতর্ক। নিন্দুকেরা বলে থাকেন পয়সার জন্যই নাকি অগ্নিদেবকে বিয়ে করেছিলেন সুদীপা। কিন্তু সে যে যাই বলুক পরিচালক ও তার পরিবারকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভালোবেসেছিলেন তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রায় ১৩ বছর পর পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় বিয়ে করেন সুদীপাকে। তাদের দুজনের বয়সের পার্থক্য কিন্তু ২১ বছর। পরিচালকের প্রথম পক্ষের ছেলে আকাশ চট্টোপাধ্যায় তখন বোর্ডিং স্কুলে।
আরও পড়ুন: মন্দিরে বাবা-মেয়ের আচমকা সাক্ষাৎ! নিজের বাবাকে খুঁজে পেল আঁখি, জমজমাট দুই শালিক
বলাই বাহুল্য, মায়ের সঙ্গে বাবার বিচ্ছেদ, বাবার জীবনে অন্য বান্ধবীকে মেনে নিতে পারেনি খুব সহজে আকাশ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুদীপার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় আকাশের। বলা চলে এই সম্পর্ককে নিজের হাতে গড়েছিলেন সুদীপা। নিজের বড় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি একবার লিখেছিলেন, আমি কখনও তোমার মা হতে পারব না। কিন্তু আমি গোটা জীবন তোমার ‘এই যো’ হয়ে থেকে যাব। অভিনেত্রী লিখলেন, আমি জানি আমার পাশে আর কেউ না থাকুক ভালোবাসা আর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তুমি থাকবে। আর তোমার পাশে আমি।
একইসঙ্গে তিনি লিখেছিলেন আমরা দুজন দুজনের ভালো বন্ধু, সব থেকে বড় সমালোচক, কিন্তু তার থেকেও বড় একে অপরের সাপোর্ট সিস্টেম।