২০ হাজার টাকার ব্যাগ, বারবার ব্র্যান্ডের নাম! ‘লাক্সারি ব্যাগ’ দেখিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতেই, তুমুল বিতর্কের মুখে মধুবনী! নেটিজেনরা বলছেন, “কেউ কি ব্র্যান্ডেড ব্যাগ ব্যবহার করেনি নাকি? দাম বলে লোককে অপমান করার এত সস্তা মানসিকতা কেন?”

টেলিভিশনের পর্দায় হয়তো তাঁকে আর কখনোই দেখা যাবে না কোনও ধারাবাহিকে। এমনটাই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী ‘মধুবনী গোস্বামী’ (Madhubani Goswami)। প্রথম ধারাবাহিকেই রাতারাতি সাফল্য আর সেই নায়কের সাথেই মাখোমাখো প্রেম, পরবর্তীতে বিয়ে এবং বর্তমানে একটি পুত্র সন্তানের মা তিনি। ছোট পর্দা ছেড়েছেন বেশ অনেকদিন। এখন একটি পার্লারের পাশপাশি, সমাজ মাধ্যমে ভ্লগিং (Vlogging) করেন। সম্প্রতি তিনি প্রায়ই চর্চায় থাকেন, আর এবার যেন একটু বাড়াবাড়িই করে ফেলেছেন দর্শকদের মতে।

বেশ কিছুদিন আগেই মধুবনী প্রথম চর্চায় আসেন তাঁর ঠাকুর দাদা প্রয়াত হওয়ার খবর জানিয়ে পোস্ট করা একটি ভিডিওকে ঘিরে। নেটিজেনরা বলেন, ‘দাদুর মৃত্যুর মতন একটা বিষয়কেও কন্টেন্ট বানানোর দরকার কি ছিল? তাও আবার হিন্দি গান গেয়ে!’ এর ঠিক পরেই চুলে সোনালী রঙ এবং নাকের বৃহাকৃতির নাকছাবির জন্য সমালোচিত হন। লোকে ‘ডাকিনী’ থেকে শুরু করে ‘ছাপড়ি’ পর্যন্ত বলতে ছাড়েননি। এদিন মধুবনী আরও একটি নতুন ভিডিও পোস্ট করেন, যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক!

কি আছে সেই ভিডিও তে? সেই ভিডিওতে আসলে তিনি আমেরিকার একটি স্বনামধন্য ব্র্যান্ড ‘গেস’ এর ব্যাগ কিনেছেন আর সেটাই সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। শুরুতেই তিনি বলেন, “সোনালী চুল আর বড় নথ পড়া মেয়েটা একটা ২০,০০০ টাকা দামের লাক্সারি ব্যাগ কিনেছে, তাও আবার ইউএসের ব্র্যান্ডের। তোমরা দেখলে জাস্ট ছিটকে যাবে!” যদিও মধুবনী বলেছেন, এই ব্যাগটা কেনার কারণ তাঁর ছেলে অনেক ছোটো আর যেখানেই যান তিনি, অনেক জিনিস নিয়ে যেতে হয়।

কিন্তু বারবার ব্র্যান্ডের নাম উচ্চারণ, এমনভাবে বিকৃত করে দাম এবং ‘লাক্সারি’ বলা অনেকেরই দৃষ্টিকটু লেগেছে। নেটিজেনরা যেমন বলেছেন, “তুমি তো ঈশ্বরের বিশ্বাসী, পুজো আচ্ছাও করো, তাহলে এত দামি ব্যাগ না কিনে সেই পয়সায় দুটো গরীব বাচ্চাকে খাওয়ালেও ভালো কাজ করতেন।” আবার অনেকে সরাসরি কটাক্ষ করেই বলেছেন,”তোমার লুক নিয়ে অনেকের অনেক মন্তব্য, সেটা তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

তুমি নিজেকে কীভাবে রাখবে আর দেখতে চাও সেটা তোমার বিষয়। কিন্তু আমার ওয়ার্ডরোবেও মাইকেল কোর্স, গেস, এমনকি গুচি-ও আছে (তোমার লাক্সারি ব্যাগের সংজ্ঞা অনুযায়ী), তবু জীবনে কোনোদিনও এভাবে দাম শুনিয়ে লোককে দেখাইনি। এটা আমার মতে খুব সস্তা মানসিকতা।” আবার কেউ বলেছেন,” প্রথমত এটা কোনও লাক্সারি ব্যাগ নয়, লোকে ছিটকে যাওয়ার মতো এতে কী আছে গো? কেউ কি ব্র্যান্ডেড ব্যাগ ব্যবহার করেনি নাকি?

কিনেছো ভালো কথা, দেখাচ্ছো তাও ভালো কথা কিন্তু এতে লোকে ছিটকে যাওয়ার এমন কিছুই হয়নি। তুমি হয়তো প্রথমবার কিনেছো কিন্তু অনেকেই এগুলো অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করছে।” আবার এক ব্যক্তি বলেছেন,”সাধারণ মানুষ যেখানে সারা মাসে এই টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, আর এদের হাতে এত টাকা এসে গেছে যে কি করবে দিশা হারিয়েছে।” হঠাৎ করে এমন ভিডিও বানানো নিয়েও কটাক্ষ কম আসেনি তাঁর দিকে।

আরও পড়ুনঃ শুভলক্ষ্মীর সংসার ভাঙনের মুখে! এক ছবিতেই ভাঙতে বসেছে বিশ্বাস! আদৃত কি সত্যিই দোষী? এবার কার ষড়যন্ত্রে আলাদা হচ্ছে শুভলক্ষ্মী-আদৃতের পথচলা?

একজন তো সরাসরি কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি,”তুমি ভিডিওগুলো বানাওই মানুষকে উসকে দেওয়ার জন্য। তারপর লোকজন বাজে কথা বললে গায়ে লেগে যায়!তোমরা না বুঝেই গেছ কী টাইপের ভিডিও বানালে ভিউস আর কমেন্টস বেশি আসে, আর ঠিক সেগুলোর দিকেই যাচ্ছো। দুঃখিত, বলতে বাধ্য হলাম।” আপনাদের কি মনে হয় এই ভিডিওগুলো কি সত্যিই কনটেন্ট তৈরির উদ্দেশ্যে, নাকি শুধু অহংকার আর অর্থের প্রদর্শনী?