ধীরে ধীরে বাড়ির সবাইয়ের চক্ষুশূল হয়ে উঠছে বুবলাই। স্টার জলসা চিরসাথী ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, নতুন বাড়িতে ফিরে আসা মাত্রই যেনো প্রাণ ফিরেছে পরিবারে। সেই আগের মতন হাসি-ঠাট্টা সবকিছু নিয়েই মেতে রয়েছে গোটা মুখার্জী পরিবার।
আর, এর মধ্যেই কিছুটা অনিচ্ছা নিয়েই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বর্ষা। কমলিনীর শাশুড়ি বলে নতুন ফিরে এসেছে তাই বাড়িটাতেও প্রাণ এসেছে। এমন সময়, সকলের সামনে এসে উপস্থিত হয় বুবলাই। এরপর, কমলিনী তাঁকে খেতে বসতে বলায় সে বলে এটা যাঁর বাড়ি সে’ই থাকুক। এরপর, নানা কথায় আবার তর্ক বিতর্ক শুরু হয় বুবলাইয়ের সঙ্গে বাড়ির সদস্যদের।
একটা সময় তর্ক বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে বুবলাই তাঁর মাকে বাবার প্রসঙ্গ তুলে কথা শোনায়। বুবলাই বলে, আজ হঠাৎ যদি তার বাবা এসে হাজির হয়, এই সব কিছু সে সহ্য করবেনা। এই শুনে স্বতন্ত্র বলে আজ বুবলাইয়ের বাবা ফিরে এলে তাঁর সমস্ত দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবে। বুবলাই বলে, এখনো পর্যন্ত তারা তাদের বাবার ডেড বডি খুঁজে পায়নি। যদি হঠাৎ করে ফিরে এসে তার বাবা নতুন কাউকে এই বাড়িতে দেখে তাহলে তাঁরও ভালো লাগবে না।
এরপর, কমলিনী তার ছেলের কথা শুনে বলে ছেলে ছোট থেকেই তার মাকে কাঁদতে দেখেছে, রংহীন শাড়ি পড়তে দেখেছে, কষ্ট পেতে দেখেছে। কিন্তু আজ সেই মা একটু রংচংয়ে শাড়ি পরলে কিংবা হাসিখুশি থাকতে দেখলে ছেলের সহ্য হয় না। এমন সময়, কুর্চি বলে বুবলাইয়ের শুধু তার মায়ের আনন্দ নয় বাড়ির কারোর আনন্দই সে সহ্য করতে পারে না। ঝামেলার পরেও স্বতন্ত্র নিজের হাতে বুবলাইকে চা খাইয়ে দিতে গেলে ঠেলে ফেলে দেয়, যা দেখে অবাক হয়ে যায় বাড়ির লোক।
আরও পড়ুনঃ অভিনয়ে যেমন পারদর্শী, পড়াশোনাতেও তেমন! কোয়েল মল্লিক আসলে কী নিয়ে পড়েছেন? জানলে চমকে যাবেন!
অন্যদিকে দেখা যায়, মিঠি গেছে কলেজে। এমন সময়, প্লুটোও গেছে কলেজে। কিন্তু, মিঠি-প্লুটোর মান-অভিমানের পাহাড় এতটাই উঁচু হয়ে গিয়েছে যে, তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে, প্লুটো দূর থেকে মিঠিকে দেখে মনে মনে ভাবছে আজ সে (মিঠি) তাঁকে ঠকিয়েছে, তাই সে’ও মৌয়ের সঙ্গে ভালো থাকার অভিনয় করবে।