বুবলাইয়ের অশান্তিতে জেরবার মুখার্জি পরিবার! বাবার ফটো নিয়ে অযথা আদিখ্যেতা বুবলাইয়ের! স্বতন্ত্র এই ঝামেলা সামলে থেকে যেতে পারবে কি কমলিনীর সংসারে? আগামী দিনে কি হতে চলেছে চিরসখা ধারাবাহিকে?

রোজই নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে ঝামেলা করা যেন অভ্যাসে হয়ে দাঁড়িয়েছে বুবলাইয়ের। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকের আজকের পর্ব দেখা যাবে, বুবলাই তাঁর বাবার ছবি বাড়িতে বাধিয়ে এনেছে যাতে সে সবার মধ্যে না থেকেও যেনো থাকতে পারে। এরপর, এই ফটো নিয়েও বাড়িতে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়।

ওইদিকে, কুর্চি বিরক্তবোধ নিয়ে তাঁর বৌদিভাইকে বলতে থাকে রোজ কিছু না কিছু নিয়ে বুবলাই অশান্তি শুরু করেছে। কোমলিনীর স্বামীর ছবি বাঁধিয়ে এনেছে বলে বাড়ির সবাই অসন্তুষ্ট হয়। এতদিন তারা বাড়ির ছেলের ফটো কোথাও রাখেনি কারণ এতে কোমলিনীর শাশুড়ি কষ্ট পাবে।

Anashua Majumdar

অন্যদিকে দেখা যায়, প্লুটোর মা সর্বজিৎকে বলছে তাঁরা মুখার্জি বাড়িতে গিয়ে খুবই অপমানিত হয়েছে। এমনকি সেখানে স্বতন্ত্র তাদেরকে অপমান করেছে। প্লুটোর মায়ের মতে, আজ স্বতন্ত্রর নিজের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও কেন সে এই বাড়িতে এলো না? এদিকে প্লুটোও তাঁর মায়ের কথার সঙ্গে সহমত হচ্ছে।

কিন্তু সর্বজিৎ তার ভাইকে ভালো মতন করেই চেনে সে জানে, নতুন কোথায় থাকলে ভালো থাকবে বা না থাকবে। ডলিদের কথা শুনে সর্বজিত জানায়, কমলিনি সব থেকে ভালো স্বতন্ত্রর খেয়াল রাখতে পারবে তাই সে সেখানে রয়েছে। এত কিছু জানা সত্ত্বে তবুও প্লুটোরা আশা করেন নতুন তাদের সঙ্গে গিয়ে থাকবে।

এদিকে আবার কথায় সর্বজিৎ দলকে বিদেশে ফিরে যাওয়ার কথা বলে কিন্তু দল মনস্থির করেছে যে সে চিরকালের মতন এই দেশেই থেকে যাবে। এরপর সর্বজিৎ আরো বলে ডলকে, সে যদি চায় তাহলে নতুনের বন্ধুর সঙ্গে জীবনটাকে নিয়ে আরেকবার ভাবার কথা ভাবতে পারে। কিন্তু, ডল নারাজ। সে বলে, জীবনে তেমন কাউকে পছন্দের মত মানুষ পেলে তবেই সে বিয়ের কথা ভাববে।

এরপর, দেখা যায় বুক লাইফ তার বাবার প্রসঙ্গ টেনে কমলিনি এবং স্বতন্ত্রকে পুনরায় অপমান করছে বিশেষত স্বতন্ত্রকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে সে এই বাড়ির কোন সদস্য নয় শুধু বাইরের একজন মানুষ। কিন্তু তাতে নতুনের খুব একটা অপমান বোধে অনুতপ্ত হচ্ছে না।

আরও পড়ুনঃ “কেউ কথা রাখেনি, ভরসা রেখেছিলাম শুধু নিজের উপর”— ৫০০ টাকার স্টেজ শো থেকে ছোট পর্দার নিয়মিত মুখ, মীরাক্কেলের সেই ভিকি আজ শোনালেন অভিনেতা হওয়ার পেছনের লড়াই!

অন্যদিকে আবার দেখা যায়, সর্বজিৎয়ের কাছে তাঁর স্ত্রী প্লুটোর বিষয় নিয়ে বিশেষ আর্জি রাখে। প্লুটোর মা বলে, ছেলে বিদেশে যাওয়ার আগে তার এবং মৌয়ের বিয়ের রেজিস্ট্রি করিয়ে দিতে চায়। এই শুনে অবাক হয়ে যায় সর্বজিত এবং বলে ছেলে যদি নিজের ক্ষতি নিজে করতে চায় তাহলে কোন কিছু বলার নেই। স্পষ্টভাবে বোঝা যায় অসময়ে ছেলের বিয়েতে মত দিতে নারাজ সর্বজিত।