অভিনয়জগতে পা রেখেই সরব কুণাল ঘোষ। প্রথম ছবি ‘কর্পূর’-এর ডাবিং শেষ করেই খোলামেলা মন্তব্য করলেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ক্ষেত্রেও নিজের অবস্থান নিয়ে তিনি স্পষ্ট। বললেন, “অভিনয় হোক বা ডাবিং— দুটোই আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। পরিচালক অরিন্দম শীল আর সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার দিব্যেন্দু, কাঁকন— সবাই অনেক সাহায্য করেছেন। সত্যি বলতে কী, পুরো প্রক্রিয়াটা ভীষণ উপভোগ করেছি।”
তবে এই ডাবিং ঘিরেই তৈরি হল এক অদ্ভুত কাণ্ড। কুণালের ডাবিং চলার সময়ই পাশের ঘরে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু কুণালের উপস্থিতি টের পেয়ে নাকি মিঠুন নিজেই ডাবিং রুমে আটকে রাখেন নিজেকে! দুপুরে লাউঞ্জে খেতেও আসেননি। এ খবর সত্যি কি না জানতে চাইলে কুণাল হেসে বলেন, “ঠিকই শুনেছেন। আমরা দু’জনেই আগে থেকে জেনেছিলাম যে একই দিনে ডাবিং আছে। কেউই তারিখ বদলাইনি, তবে মিঠুনদা রুমেই খেয়ে নিলেন।”
রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে সম্পর্ক যে আগের মতো নেই, তা খোলাখুলি স্বীকার করেছেন কুণাল। তাঁর মতে, “মিঠুনদা যেভাবে আমাদের দলনেত্রীকে অপমান করেন, সেটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি সৌজন্য দেখাতে পারতাম, কিন্তু এখন তার সময় নয়। আগামী বছরই তো বিধানসভা নির্বাচন!” তা সত্ত্বেও তিনি বলেন, “মুখোমুখি হলে আমি অসভ্যতা করতাম না, আবার অতিরিক্ত ভদ্রতাও দেখাতাম না।”
এরপর দেবকে নিয়েও মুখ খুলেছেন কুণাল। তাঁর মন্তব্য, “দেব নাকি মেগাস্টার! তাহলে ওঁকে ছবিতে এত তারকা নিতে হয় কেন? একা একটা ছবি টানতে পারছে না?” এখানেই থামেননি তিনি। কটাক্ষ করে আরও বলেন, “যাঁরা সারাক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীকে কুকথা বলেন, দেব তাঁদের মধ্যেই প্রতিভা খোঁজেন! মিঠুন বা সোহিনী— এঁরা ছাড়া নাকি বাংলায় অভিনেতা নেই!” যদিও দেবের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে হাস্যরস করে বলেন, “দেবের থেকেও আমার পছন্দ রুক্মিণী মৈত্র।”
আরও পড়ুনঃ “মায়ের বড় অসুখ…মানসিক হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে”— ভেঙে পড়ে জানালেন অভিনেত্রী দিয়া মুখোপাধ্যায়! যাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারেন না দিয়া, সেই মানুষটার সঙ্গে কী এমন ঘটেছে?
তবে সবশেষে কুণাল জানালেন, তাঁর আপত্তি নয় বিরোধী মতের প্রতি, বরং অশালীন আচরণের প্রতি। বললেন, “রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র বা কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষদের আমি শ্রদ্ধা করি। কারণ ওঁরা ভদ্র ভাষায় নিজের মতামত দেন। কিন্তু দেব যেভাবে কটূক্তিকারীদেরই ‘প্রতিভা’ বলে বেছে নেন, সেটাই আমার আপত্তি।”






