শুধু কী রসগোল্লা, এই রসগোল্লা যেখানকার সেখানকার মানুষরাও মিষ্টি। আর যেখানের খাবার ও মানুষ দুটোই মিষ্টি তাঁদের ভাষাও যে মিষ্টি হবে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর এই মিষ্টি ভাষার ফাঁদে যুগ যুগ ধরে মানুষরা পড়তে থাকেন। গোটা বিশ্বের কাছে বাংলা ভাষা সবথেকে মিষ্টি ও সুমধুর ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাঙালিরা স্বভাবে আবার একটু বিপ্লবী। তাই কেরালার সঙ্গে তাঁদের বেশ ভালই হৃদ্যতা। তবে এবারে কেরলের মেয়ে এসে ধরা দিল বাংলার কাছে। নাম অ্যান মেরি টম। বাংলা ধারাবাহিকের এই মুহুর্তের বেশ জনপ্রিয় একটি মুখ। যেমন মিষ্টি দেখতে তেমনই তাঁর অভিনয়। তাই রাতারাতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
তবে কীভাবেই বা ধরা দিলেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে? আর সাউথ ইন্ডাস্ট্রি থাকতে কেন বাংলায়? আরও নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। এইসব প্রশ্নের জবাব নিজেই দিলেন এক এক করে। প্রথমত জানালেন তিনি কেরল ও বাংলা দু’জায়গাতেই বড় হয়ে উঠেছেন।
অর্থাৎ তাঁর জীবনের কিছুটা অংশ কেটেছে কেরলে আবার বেশ কিছুটা অংশ কলকাতায়। প্রথমে বাংলার খুব একটা ভালো কথা বলতে পারতেন না। কিন্তু এখন অনেকটাই বলার চেষ্টা করেন। আগের থেকে অনেকটা ভালই বাংলা বলেন। তবে বাড়িতে অবশ্যই নিজের মাতৃভাষা, মালয়ালি ভাষায় কথা বলেন।
অ্যান মেরি টমের মা বাবা দুজনেই স্কুলে চাকরি করেন। কিন্তু এই লাইনে কীকরে এলেন? সেই প্রসঙ্গে জানান, কলেজে পড়াকালীন মডেলিং করতেন তিনি। বেশ কিছু ফ্যাশন শো করেন। সেখান থেকেই বেশ কিছু অডিশনেও যান। আর তখনই তাঁর সুযোগ আসে ‘ বীণাপাণি ‘ ধারাবাহিকে কাজ করার।
সেখান থেকেই তাঁর পথ চলা শুরু। কিন্তু বাংলাতেই আটকে থাকার ইচ্ছে তাঁর? কারণ এই মুহূর্তে সাউথের সিনেমার ও ইন্ডাস্ট্রির জয়জয়কার ভারত জুড়ে। সাউথের এক একটি সিনেমা রীতিমতো টক্কর দেয় বলিউডকে। এর উত্তর খুব মিষ্টি ভাবে অভিনেত্রী জানান, বাংলায় তো কাজ না করার কোনও কারণ তিনি দেখতে পান না। বাংলা খুব মিষ্টি ভাষা। তবে অবশ্যই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিকেও যে একদম ইগনোর করছেন তা নয়। সেখানেও বেশ কিছু অডিশন দিচ্ছেন। আপাতত অভিনেত্রী অ্যান মেরি টম ব্যস্ত তাঁর পরবর্তী কাজ তাঁর নতুন ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে।