স্টার জলসার অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। কয়েক সপ্তাহ ধরেই টিআরপি লিস্টের প্রথমেই জায়গা করে নিচ্ছে সর্বদা এই ধারাবাহিক। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে চর্চিত নায়িকাদের অন্যতম একজন হলেন স্বস্তিকা ঘোষ মানে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র দীপা। বছর দেড়েক আগেও সে-ভাবে কেউ চিনতো না রায়দিঘির এই কন্য়েকে। নায়ক ‘সূর্য’ দিব্যজ্য়োতির সঙ্গে দীপার এই জুটি দর্শকদের মনে এক বিশাল জায়গা দখল করে নিয়েছে।
বর্তমানে দুজনের মধ্যেই ভুল বোঝাবোঝির জন্য তারা একে অপরের থেকে অনেক দূরে চলেগিয়েছে। তবে এবার দুই সন্তানের সুখের জন্য দীপা সূর্যের অপমান সহ্য করেই সেনগুপ্ত বাড়িতে চলে এসেছে। মায়ের অধিকারকে সামনে এনে সূর্যকে বাধ্য করেছে দীপাকে এ বাড়িতে থাকতে দিতে। সূর্য ও দীপার মধ্যে সমস্যার দরুন কষ্ট পাচ্ছে তাদের খুদে দুই সন্তান। একদিকে রূপা সকল সত্যি জেনে গিয়েছে, অন্যদিকে সোনা জেনে গিয়েছে তার আসল বাবা সূর্য নয়।
তাই সে ফুলমার কাছেই থাকতে চায়। দীপা ও সূর্যের মাঝে পড়ে এখন তাদের দুই খুদে সন্তানের শোচনীয় মানসিক অবস্থা। আগেই রূপা জেনেছিল বাবার কথা, তারপর জানল তার বোন সোনার কথা। এবার সোনার মনেও জাগতে শুরু করেছে নানান প্রশ্ন। পাশাপাশি দর্শকও তাদের মিল দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বহুদিন। এবার সেই প্রসঙ্গেই এক সাক্ষাৎকারে কথা বললেন দীপা ও সূর্য। তাদের কথায় কিছুটা হলেও স্বস্তি বোধ করতে পারে দর্শক।
দীপা জানালেন, সদ্য একটি সুন্দর প্রোমো সারলেন তাঁরা, যা দর্শকদের বেশ পছন্দের হবে। সাথে এও জানালেন, শীঘ্রই এক হতে চলেছেন সূর্য ও দীপা। যদিও কবে সেই দিন আসবে তা এখনও তাঁরাও জানেন না বলে জানান দীপা। প্রোমো নিয়েও বিশেষ কোনও কথা প্রকাশ করেননি স্বস্তিকা। তবে তাঁদের কথায় এটা স্পষ্ট, খুব তাড়াতাড়ি সেই শুভ দিন আসতে চলেছে। এদিন সাক্ষাৎকারের সময় আড্ডায় মেতেছিলেন দীপা ও সূর্য।
দীপা জানায়, সূর্য সিরিয়ালে যেমন রাগী বাস্তবে ততটা না হলেও অনেকটাই রাগী। তবে খুব অল্পসময়েই রাগ কমে জল হয়ে যায়। তবে রূপা সূর্যের চোখের মনি। দুই মেয়ের রিয়েল লাইফেও সূর্যের খুব প্রিয়। তাই রিলের ভালোবাসার সিন্ গুলোতে মন থেকেই সূর্য তাঁদের ভালোবাসে। তাঁদের মধ্যেই এই সম্পর্ক আগেই খুব পছন্দের দর্শকদের। বর্তমানে এবার শুধু তাদের একসঙ্গে দেখার অপেক্ষায় দর্শক। আর এর মধ্যেই দিব্য তার প্রিয় নায়িকার নাম জানায়। সেই নায়িকা হলেন শ্রুতি হাসান। কমল হাসানের কন্যাকে বেশ পছন্দ নায়কের।
