‘আমি হেল্প করবো যদি তুমি আজই বাড়ি ছেড়ে চলে যাও’! স্বামীর জন্য রাঁধতে গিয়ে নাজেহাল সন্ধ্যা! সাহায্যের বিনিময়ে কঠিন শর্তে বাঁধল আকাশ
ধারাবাহিকটির প্রোমো আসার পর থেকেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিল স্টার জলসার এই ধারাবাহিক। আর হবে নাই বা কেন? সিরিয়ালের মেন কেন্দ্র যে অন্বেষা হাজরা (Annwesha Hazra), যাঁর ভক্তের সংখ্যা কম নয়। স্বভাবতই ধরে নেওয়া যায়, ‘সন্ধ্যাতারা’ ধারাবাহিকটি প্রথম থেকেই জনপ্রিয় হবে। ১২ই জুন শুরু হয়েছে স্টার জলসায় ‘সন্ধ্যাতারা’ ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের শুরুতেই যে প্রোমো দিয়ে শুরু হয়, এবার সেই মোড় নিতে চলেছে ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara)।
অবশেষে এক বোন আরেক বোনের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করল। দুই বোনের মধ্যে কোন বোন করবে নিজের ভালোবাসাকে ত্যাগ? তা নিয়ে দর্শকদের মনে চলছিল নানান প্রশ্ন। মিসিং স্ক্রু প্রোডাকশনের তরফ থেকে এই ধারাবাহিক সম্প্রচার হচ্ছে। নায়কের চরিত্রে রয়েছেন সৌরজিৎ ব্যানার্জি। এই গল্পটি দুই বোনের, তবে অন্যান্য ধারাবাহিকের মতন এই সম্পর্কে নেই কোনও তিক্ততা। বরং দুই বোনের মনের অসম্ভব ভালোবাসা প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শকদের। বড় বোন সন্ধ্যার ভূমিকায় অন্বেষা ও ছোট বোন তারার ভূমিকায় রয়েছেন অমৃতা দেবনাথ।
সন্ধ্যার তেজ, প্রতিবাদী চেহারা, যাকে দেখে ভয় পায় পুরুষ থেকে নারী সকলেই। তবে এই তেজস্বিনী সন্ধ্যার মনে জায়গা করে নিয়েছে আকাশনীল নামের একজন ছেলে। কিন্তু তার এই মনের মানুষ কি আদোও তার হবে? আসলে সেই ছেলে সন্ধ্যার বোন তারাকে ভালোবাসে। যদিও সেটা সন্ধ্যা জানে না। কিন্তু দেখা যায়, যেদিন তারা জানতে পেরেছে আকাশের সঙ্গে সন্ধ্যার বিয়ের ঠিক হয়েছে সেদিনই তারা আকাশের থেকে দূরে চলে যায়। দিদির বিয়ের দিন সকালেই তারা মণ্ডপ ছেড়ে কলকাতায় চলে যায় তারা।
সন্ধ্যা ও আকাশের গাঁটছড়া
তারার অবর্তমানে আকাশের সঙ্গে সন্ধ্যার বিয়ে হয়ে গেলেও আকাশ বিয়েতে খুশি নয়। তবে সন্ধ্যা মাঠানকে কথা দিয়েছে আকাশের মনে জায়গা করে নেবে সে। এরমধ্যে বিয়েতে এসেছে নানান বাধা। যদিও সন্ধ্যা সমস্ত বাধা ভালোভাবে পেরিয়েছে। এমনকি এটাও দেখা যায়, নতুন বৌ ঢুকতে না ঢুকতেই পা পিছলে পড়ে যায় শ্বশুরবাড়ির প্রবেশ পথে। আর এরজন্য দায়ী মাঠানের মেজ বউ অর্থাৎ সন্ধ্যার পিসিমনি ও বাড়ির বড় ছেলেরা। প্রথম থেকে সন্ধ্যাকে তাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তারা। এমনকি দুধ ওল্টানো রীতি বানচাল করার জন্য সিলিন্ডার খালি করে তারা। এসবের মাঝে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হল শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক। যে সম্পর্ক সত্যি খুবই মধুর।
রান্নার সাহায্যের বিনিময়ে সন্ধ্যাকে কোন শর্ত দিল আকাশনীল?
শাশুড়ির সাহায্যে সন্ধ্যা এখনও পর্যন্ত সমস্ত বাধা অতিক্রম করতে পেরেছে। এবার সন্ধ্যার সামনে এল কঠিন চ্যালেঞ্জ। শাশুড়ি জানে, বউমা সকল গুনে সম্পন্ন। তাই আকাশের পছন্দ ছানার ডালনা করতে দেয় সন্ধ্যাকে। আর সেই রান্না করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা সন্ধ্যার। কারণ সে ছোট থেকেই বাইরের কাজ, চাষাবাদ করে এসেছে। রান্না কোনোদিনও করেনি। আর না তাদের ঘরে ছানার ডালনা কোনওদিন হয়েছে। এবার আকাশ সন্ধ্যাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু টার্বোদলে সে একটি শর্ত দেয় সন্ধ্যাকে। সন্ধ্যাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু সন্ধ্যা সেই শর্তে রাজি হয় না, সে জানায় যে সে মাঠানকে সব সত্যি বলে দেবে যে সে কোনও রান্না জানে না কিন্তু বাড়ি থেকে সে কখনোই যাবে না।