‘বৌমা তোমাকে আমি খুব ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেব, খুব ভালো রাখবে’! আকাশ চায় না গেঁয়ো ভূত সন্ধ্যাকে! সত্যিটা জেনে গেল বিজয়া
এই মুহূর্তে স্টার জলসার পর্দায় ঝড় তোলা ধারাবাহিকের নাম সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara)। এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকটি স্টার জলসার পর্দায় অন্যতম সেরা ধারাবাহিক। সমগ্র টিআরপি তালিকাতেও পঞ্চম স্থানে উঠে পড়েছে অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা অভিনীত এই ধারাবাহিকটি।
একেবারে সাদামাটা গ্রাম্য পরিবেশে ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। দুই বোন এবং তাদের জীবনে ঝড় তোলা এক পুরুষ। আকাশ, সন্ধ্যা এবং তারা এই তিনজনকে নিয়েই আবর্তিত হচ্ছে গল্প। আসলে সন্ধ্যা এবং তারা দুই বোন। সন্ধ্যা গ্রামের চাষ করে নিজের বোনকে কলেজ পড়াশোনা করিয়েছে। দিদির জন্য সবকিছু করতে পারে তারা। আবার সন্ধ্যাও বোন অন্ত প্রাণ।
কী হচ্ছে সন্ধ্যাতারায়?
কিন্তু সন্ধ্যা আর তারা যে দুই বোন তা জানে না আকাশ নীল। অন্যদিকে নিজের বোন তারাকেই যে আকাশ পছন্দ করে সেটা জানে না সন্ধ্যাও। আর আকাশনীলের পছন্দ সন্ধ্যার বোন তারা হলেও আকাশের মায়ের পছন্দ ছিল সন্ধ্যা। নিজের ছেলের জন্য একজন মেয়ের মধ্যে যে সমস্ত গুণ তিনি খুঁজছিলেন তা তিনি সবই পান সন্ধ্যার মধ্যে। অতঃপর সন্ধ্যার সঙ্গেই বিয়ে হয় আকাশের। কিন্তু সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিল না তারা।
তবে সন্ধ্যার শাশুড়ি সন্ধ্যাকে নিজের মেয়ের থেকেও বেশি ভালোবাসেন। নিজের ছেলের বউকে সব রকম বিপদ থেকে আগলে রাখতে চান তিনি। কিছু ক্ষেত্রে তো নিজের ছেলের থেকে খুব বেশি তিনি নিজের বউমাকে প্রাধান্য দেন। তিনি এবং সন্ধ্যা বিলক্ষণ জানেন আকাশনীল এই বিয়ে মেনে নেয়নি সে ভালোবাসে অন্য কোনও মেয়েকে। আর তার কাছেই ফিরে যেতে চায় সে।
আকাশনীল কী পারবে তারার সঙ্গে দেখা করতে?
আর সেই জন্যই বিভিন্ন ছুতোয় কলকাতা পাড়ি দিতে চায় আকাশ নীল। কিন্তু বারবার তার যাত্রা ভঙ্গ করে সন্ধ্যা। তার একটাই দাবি যেতে হলে তাকেও সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। ফের একবার পিসি ঠাকুমাকে কলকাতা ছাড়তে যাওয়ার নাম করে তারার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার প্ল্যান কষেছিল আকাশনীল। কিন্তু আগেভাগেই তা আন্দাজ করে আকাশনীলের যাওয়া আটকে দেয় সন্ধ্যা। কিন্তু ছেলে বিয়েতে সুখী নয়। তা জানতে পেরে মনে মনে কষ্ট পান সন্ধ্যার শাশুড়ি মা বিজয়া মাঠান। এবার কী হবে?