বিচুটিপাতার জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে জয়া মাঠান! আবার কী ভুল করল সন্ধ্যা? বৌমা সন্ধ্যার কাতর অনুরোধ কি আটকাতে পারবে না তাকে?
বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে জলসার (Star Jalsha) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara)। নায়ক- নায়িকার বিয়ে হতেই এই ধারাবাহিকের গল্পের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বগতিতে বেড়েছে টিআরপির নম্বরও। আজকের প্রকাশিত টিআরপি তালিকা অনুযায়ী এই ধারাবাহিকটি ইতিমধ্যেই টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক। দুই বোন আর তাদের জীবনে আসা একজন নায়ক। যদিও প্রথম দিকে নায়ককে মেনে নিতে দর্শকদের কিছুটা সময় লাগলেও বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছেন সন্ধ্যাতারা ধারাবাহিকের নায়ক সৌরজিৎ ব্যানার্জি।
এই ধারাবাহিকের দুইজন নায়িকা সন্ধ্যা এবং তারা। সন্ধ্যা বড় বোন আর তারা ছোটো। কলেজে পড়াকালীন সন্ধ্যার বোন তারা এবং নায়ক আকাশীলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। আর অন্যদিকে আবার আকাশনীলের মায়ের চোখে লেগে যায়, সন্ধ্যাকে। নিজের ছেলের বউ হিসেবে তিনি দৃপ্ত চেহারার, ইস্পাত কঠিন মানসিকতার অথচ ভালো মনের একজন মানুষের খোঁজে ছিলেন তিনি। আর সেই সবটাই তিনি খুঁজে পান সন্ধ্যার মধ্যে। আর যে দিদি গোটা জীবন কষ্ট করেছে নিজের ভাই বোনেদের জন্য সেই দিদির জন্য নিজের ভালোবাসাকে ত্যাগ করে তারা।
কি কারণে সাফল্য পাচ্ছে সন্ধ্যাতারা?
বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি চলে এলেও শ্বশুরবাড়িতেও কিন্তু সন্ধ্যার শত্রুর অভাব নেই। একে তো সন্ধ্যার স্বামী আকাশ নীল তাকে মেনে নিতে পারেনি। অন্যদিকে শশুর, পিসি শাশুড়ি, সহ বেশ কয়েকজন রীতিমতো বড়দের হাড্ডি। যদিও এই পরিবারের হাল ধরে রেখেছে সন্ধ্যার শাশুড়ি বিজয়া মাঠান। নিজের প্রাণ দিয়ে নিজের ছেলের বউকে ভালোবাসেন তিনি। এই ধারাবাহিকের শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্কের এক অসামান্য গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
সন্ধ্যা কি পারবে নিজের শাশুড়ির সিদ্ধান্ত বদল করতে?
এমন শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক দেখা বোধহয় বিরল ঘটনা। আর সেই কারণেই এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা আরও অনেকটাই বেড়ে গেছে। যেকোন বিপদেই সন্ধ্যাকে আগলে রাখছেন তার শাশুড়ি মা। আর নিজের শাশুড়িকে কোনভাবেই অপমানিত, অপদস্থ হতে দেখতে নারাজ সন্ধ্যাও। এরইমধ্যে শয়তানি করতে এই পরিবারে এসে হাজির হয়েছে আকাশনীলের পিসি ঠাম্মি।
যথারীতি এসেই একের পর এক চাল চেলে তিনি সন্ধ্যা এবং তার শাশুড়িকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে চলেছেন। আর তা সহ্য করতে না পেরেই বিছুটির গুঁড়ো দিয়ে তাকে শায়েস্তা করেছে সন্ধ্যা। আর এবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই সবাই দোষারোপ করা শুরু করে বিজয়া মাঠানকে। আর তাতেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যাবেন। কিন্তু তার পথ আটকে দাঁড়ায়ে সন্ধ্যা। নিজের শাশুড়ির দু’পায়ে পড়ে তার যাওয়া আটকাতে বদ্ধপরিকর সে। সন্ধ্যা কি পারবে নিজের শাশুড়ির সিদ্ধান্ত বদল করতে?