পুতুলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল রঞ্জা! তার তিক্ত ব্যবহারে বাড়ি ছাড়লো পুতুল! কি করে তাকে ফিরিয়ে আনবে তীর্থঙ্কর?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) বিয়ে হয়ে গেছে পুতুলের কিন্তু কিছুতেই রঞ্জা তাকে মেনে নিচ্ছে না পুতুলকে। বারবার কোন না কোন ভাবে পুতুলকে অপমান করে চলেছে সে। সকলেই পুতুলের প্রশংসা করলে সেটা শুনে আরও রেগে যায় রঞ্জা। পুতুল দুধ রুটি চাহিলে তাকে রঞ্জা ইচ্ছে করে মুড়ি দিয়ে দেয় কিন্তু মুড়ি না খেতে পারায় রঞ্জা পুতুলকে অপমান করে বলে “যা দিয়েছি সেটাই খেতে হবে এটা তোমার নিজের বাড়ি নয় যে যেটা মনে হবে চাইবে আর করে দেব। এরকম হলে নিজের বাড়ির থেকে এটা কাজের লোক নিয়ে আসো।”

সেটা শুনে খুব কষ্ট পায় পুতুল। তখন তীর্থঙ্কর আসে রঞ্জাকে বলে পুতুল যে অসুস্থ সেটা জানার শর্তেও কেন সে এরকম ব্যবহার করছে পুতুলের সঙ্গে। তখন রঞ্জা কোনও উত্তর দেয়না। ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠানের সময় তীর্থ পুতুলকে বলে সকলকে প্রণাম করতে তখন পুতুল সকলকে প্রণাম করে রঞ্জাকে প্রমাণ করতে গেলে তিনি পুতুলকে ধাক্কা মারা ফেলে দেয় কিন্তু পুতুল পরে যাওয়ার আগেই তাকে ধরে ফেলে তীর্থ। সে রঞ্জাকে বলে পুতুলকে তার পছন্দ না হতে অপ্রে কিন্তু এইরকম করার মানে কি একটু হলেই পুতুলের লেগে যেত।

কিন্তু রঞ্জা জানিয়ে দেয় সে পুতুলকে একদম পছন্দ করে না। তখন তীর্থকে পুতুল বলে সে বাড়ি যেতে চায় কিন্তু তীর্থ তাকে বলে আজ তার বৌভাত তাই সে বাড়ি যেতে পারবে না। এই বলে তীর্থ চলে যায় মিষ্টি আনতে। তখন পুতুল বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায় নিজের বাড়ি ফেরার জন্য। ওদিকে শিমুল আর সুচরিতা গেলে বাবার মাথায় জল ঢালতে। সেখানে গিয়ে কিন্তু বিপাশা আর শীর্ষা এখনও আসে পৌঁছায়নি। তারা আসার পর শীর্ষা বলে বিপাশা আসতে চাইছিল না সে জোর করে নিয়ে এসেছে।

তখন বিপাশাকে চুপ থাকতে দেখে শিমুল আর সুচরিতা তাকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে কিন্তু বিপাশা কোনও উত্তর দেয়না। বিপাশা আর শীর্ষাকে লাইনের মাঝে ঢুকতে দেখে পাড়ার মহিলারা বলেন তারা এইভাবে বে লাইনে ঢুকছে কেন। তখন সুচরিতা বলে তারা সবসময় একসঙ্গেই থাকে কিন্তু কাকিমারা বলেন তারা সবাই খালি লোকের ঘর ভাঙে। শিমুলকে তারা বলেন শিমুল কেন বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরও এখানে এসেছে, কার জন্য বাবার মাথায় জল ঢালবে সে। তখন শিমুল বলে নিজের জন্য।

তখন মধুবালা দেবী বলে এই মন্দির সবটা তিনি করেন তাই তিনি এদের লাইনে দাড় করাতে পারেন তখন আর কেউ কিছু বলেনা। মধুবালা দেবী বাবার কাছে চায় পরাগ যেন সুস্থ থাকে। অনুষ্ঠানের সময় বিপাশা জানিয়ে দেয় সে গান করবে না। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বলে চন্দন তাকে সবটা বুঝিয়েছে তখন সুচরিতা বলে সে তাকে প্রমাণ দেখাবে। ওদিকে তীর্থ বাড়ি আসে পুতুলকে না পেয়ে রঞ্জাকে জিজ্ঞাসা করে পুতুলের বিষয়ে। কিন্তু সে কিছুই বলতে পারেনা তখন তীর্থ সাইকেল নিয়ে পুতুলকে খুঁজতে বেরয়।

আরো পড়ুন: কুটনি কোথাকার! পর্ণার গর্ভস্থ সন্তানকে মারতে খাবারে বিষ মেশালো অয়ন-মৌমিতা! ধরে ফেলল কৃষ্ণা! কি হবে এবার? 

পুতুলও চায়ের দোকানে থাকা লোকেদের জিজ্ঞাসা করে তার বাড়ি যাওয়ার রাস্তা কিন্তু যে যখন জানতে পারে তার বাড়ি অনেক দূরে তখন সে তাদের থেকে টাকা যায় কিন্তু তারা অপমান করলে সেখানে থেকে চলে গিয়ে পুতুল একটা অটোতে বসে বাড়ির জন্য বেরিয়ে যায়। পুতুলকে না পেয়ে তীর্থ শিমুলকে ফোন করে সবটা জানায়। শিমুল ভাবতে শুরু করে পুতুল কোথায় গেল? তাহলে কি মনে হয় আপনাদের পুতুলকে কি শেষে পাবে তারা, নাকি পুতুল পরে যাবে খারাপ লোকেদের খপ্পরে?