ধীরে ধীরে কাছাকাছি আসছে মৌ ও নির্ঝর। গল্পে আসতে চলেছে নতুন মোড়। সদ্য শুরু হওয়া স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’ কিছুদিনেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকের ট্যাগলাইনও দেওয়া হয়েছে মানানসই ‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’। আসলে আমাদের সমাজে বহুকাল আগে থেকে একটা ধারণা চলে আসছে, তা হল মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু। চিরাচরিত এই ধারণার বদল ঘটাতেই আসছে সম্পূর্ণ নারী কেন্দ্রিক ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’।
ধারাবাহিকের প্রথমেই বিয়ের পর্ব এনে মোড় ঘোরানো হয়। আর সেখান থেকেই শুরু নায়ক-নায়িকার পথ চলা। যদিও দুজনেই পরিস্থিতির চাপে পরে বিয়েতে রাজি হয়েছে। তবে এই সংসারের বন্ধনে কিভাবে তারা একে ওপরের সাথী হয়ে উঠবে তাই দেখার। পাশাপাশি গল্পের মেন্ কেন্দ্র নায়িকা মৌ-এর জন্য পুরো পরিবারের মেয়েরা আবার নতুন করে জীবনের অর্থ খুঁজে পাবে।
কিন্তু মৌ-এর শাশুড়ি এখনো মৌকে বৌমা হিসাবে মেনে নিতে পারেনি। আর সে চায়, মৌ যাতে ডোডো অর্থাৎ নির্ঝরকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। ডোডো টানা ১০ বছর চাঁদনী বলে একজনকে ভালোবেসে এসেছে। তাদের বিয়ে হওয়ারই কথা ছিল। আর বীথি অর্থাৎ ডোডোর মাও তাই চেয়েছিল। কিন্তু ডোডোর ব্যবসায় অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় ডোডোর মামা টাকা দেওয়ার বদলে মৌকে ডোডোর বউ করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব রাখে।
আর তার জেরেই মৌ, ডোডো দুজনেরই অনিচ্ছা থাকা সত্বেও তারা বিয়ে করে। কিন্তু তাদের সম্পর্কে অনেক বাধা আসতে থাকে। কিন্তু তারপরও মৌ তার সমস্ত দায়িত্ব পালন করে, পাশাপাশি ডোডোও মৌ-এর পড়াশোনা ও দেখাশোনার সকল দায়িত্ব পালন করে চলেছে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠছে।
বীথি যতই তাদের মধ্যে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে বাসা বেঁধেছে। তবে কি ১০-১২ বছরের ভালোবাসাকে ভুলে যেতে চলেছে ডোডো? দুদিনের ভালোবাসা কি তবে জিতে যেতে চলেছে ১২ বছরের ভালোবাসার কাছে? এদিকে চাঁদনী এখনও ডোডোকেই ভালোবাসে। বিথীও চায়, চাঁদনী আর ডোডোর বিয়ে হোক। তবে আসলে কোন মোড় নিতে চলেছে ‘মৌঝর’এর জীবন? তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে দর্শকও!
