ফুলকির জীবনে নেমে আসল বিপদ! মধুবন্তীকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুমুখে ফুলকি! নিজের ভালোবাসাকে কি করে বাঁচাবে রোহিত?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki)। একের পর এক চমকের কারণে বাড়ছে ধারাবাহিকের টিআরপি। এই সপ্তাহে দ্বিতীয় হলেও গত দুইবারে বেঙ্গল টপার ধারাবাহিক ফুলকিতে এসেছে নতুন চমক। রোহিতের নির্দোষ প্রণাম করতে সংবাদপত্রের অফিসে চলে এসেছে ফুলকি। কিন্তু কড়া সিকিউরিটির জন্যই ফুলকি বাধ্য হয় ছদ্মবেশ নিতে। কিন্তু অফিসে ঢুকেই খানিকটা ঘাবড়ে যায় ফুলকি। সে ভাবতে থাকে কিভাবে সে মধুবন্তীকে গিয়ে বলবে। তখনই অফিসের কর্মচারীরা এসে ফুলকির কাছে চা চায়।

ফুলকি ভাবে “চা তো ঠান্ডা হয়ে গেছে এই এটা তো আর মধুবন্তী ম্যাডামকে দেওয়া যাবে না। তাহলে কি করবো? চা গরম করব কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। তাহলে?” তখন ফুলকি ভাবতে থাকে রোহিত এসেছে তার কাছে। রোহিত ফুলকিকে বলছে “তুমি এখানেও চলে এসেছ ফুলকি দাস। তুমি আমার জন্য এত কেন করছো ফুলকি।” তখন ফুলকি বলে “আমায় তো করতেই হত আপনার জন্য।” কিন্তু তখনই ঘোর কাটে ফুলকির সে বুঝতে সে স্বপ্ন দেখছিল।

ওদিকে কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকে মধুবন্তী। তিনি বলেন একজন গুন্ডার জন্য তিনি ভয়ে পেয়ে বসে থাকবেন না। পুলিশ আছে, বাউন্সার আছে। তাদের সঙ্গেই তিনি কাজে যাবেন। এই বলে যখন মধুবন্তী বেরিয়ে আসে তখনই তার কাছে চলে যায় ফুলকি। সে মধুবন্তীকে বলে তার সঙ্গে কথা আছে। কিন্তু মধুবন্তি জানিয়ে দেন তিনি চা খাবেন না। মধুবন্তীর ধাক্কায় পরে যায় ফুলকি। ফুলকি পরে যাওয়ার কারণে তার মাথা থেকে তার আসল চুল বেরিয়ে আছে। ফুলকিকে মন্টুর লোক ভেবে সিকিউরেটিকে ডাকতে চলে যায় তার কর্মচারী।

তখনই ফুলকি মধুবন্তীকে বলে সে ফুলকি দাস, রোহিত রায় চৌধুরীর স্ত্রী আর ছাত্রী। তার স্যারের নামে এই পত্রিকায় ভুল লেখা হচ্ছে। কিন্তু ফুলকির কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে মধুবন্তী বলে, এখানে এইভাবে কথা হয়না। এই বলেই চলে যায় মধুবন্তী। আর ফুলকিকে সিকিউরিটি বের করে দেয়। কিন্তু মধুবন্তী যাওয়ার পথ আটকে দাঁড়ায় ফুলকি। মধুবন্তি ফুলকির কথা শুনে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। মধুবন্তির গাড়ির পিছিয়ে দৌড়াতে থাকে ফুলকি। কিন্তু মধুবন্তীর গাড়ি দ্রুত যাওয়ার কারণে পড়ে যায় ফুলকি এবং তার হাতে চোট লাগে।

আরও পড়ুন: এমন মেয়েই তো চাই! চন্দনকে উচিত শিক্ষা দিয়ে নিজের অধিকার বুঝে নিল বিপাশা! মনের কথায় বিরাট ধামাকা

তখনই চলে আসে রোহিত এবং ফুলকি বলে এইসব বন্ধ করতে কিন্তু ফুলকি কোন কথা শোনে না। ওদিকে মধুবন্তির গাড়ি আটক করে মন্টু গুন্ডার দল। সেটা দেখেই ফুলকি মধুবন্তীকে বাঁচাতে চলে যায়। কিন্তু মধুবন্তীকে বাঁচাতে গিয়ে হাতাহাতিতে গুলি লেগে যায় ফুলকি। রোহিত এসে গুন্দাগুলোকে মারে। যদিও পালিয়ে যায় গুন্ডারা। এরপর রোহিত ফুলকির কাছে তাকে ডাকতে থাকে। কিন্তু ফুলকি চোখ খোলে না। তখন মধুবন্তী অ্যাম্বুলেন্সে করে ফুলকিকে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চলে আসে তমাল, পিয়াল আর ধানু। রোহিত তাদের বলে এবার ফুলকি সুস্থ হলে সে ফুলকিকে আর কোথাও যেতে দেবে না নিজের কাছে আটকে রাখবে। ওদিকে মধুবন্তি ভাবতে থাকে এই মেয়েটা খারাপ নয়। তাহলে কি এবার রোহিতের বদমান ঘোচাতে পারবে ফুলকি?