এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় যে ধারাবাহিকটি সদাই দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছে তার নাম ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) । বলাই বাহুল্য, বাঙালি দর্শকরা এখন এই ধারাবাহিকটি মন দিয়ে দেখে চলেছেন। আর যার ফলে এখন এই ধারাবাহিকের আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। বলাই বাহুল্য, দারুণ রকমের টিআরপি না থাকলেও এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকটি ভালোভাবেই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে।
এই ধারাবাহিক দেখিয়ে দিয়েছে আপন মায়ের পেটের দিদি ঠিক কতটা ভয়ংকর হতে পারে, স্বার্থপরতা কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, একজন মানুষকে মানুষ ঠিক কতটা হিংসে করতে পারে তার জ্বলজ্যান্তু উদাহরণ হল এই ধারাবাহিকটি। একজন দিদি বোনের জীবন কী রকমভাবে ধবংস করতে পারে তার উদাহরণ হল ময়ূরী।
যে দিদি বোনের জীবনে মাতৃসমা, মমতাময়ী বলে থাকেন সেই দিদি যে নিজের বোনের জীবন-নিতে উদ্যত হতে পারেন তা এই ধারাবাহিক না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। এই ধারাবাহিকের গল্পের প্রতিটা পর্বে এখন রয়েছে টানটান রোমাঞ্চ, উত্তেজনা।
আর এই তীব্র উত্তেজনার কারণেই এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকরা এই ধারাবাহিকটি দেখার প্রতি এতটা বেশি করে আগ্রহ বেড়েছে। আর তুমুল এই উত্তেজনার কারণেই এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকের গল্প মন কেড়ে নিয়েছে দর্শকদের। ফের একবার মেঘের সর্বনাশ করার জন্য রূপের সঙ্গে মিলে পরিকল্পনা করেছে সে। আরও একবার মেঘের জীবন নষ্ট করে দিতে চায় সে।
মেঘের সঙ্গে জিষ্ণুর নাম জড়িয়ে মেঘকে বদনাম করে তাকে আবারও নীলের চোখে ছোট করার পরিকল্পনা করেছে সে। শুধু তাই নয়, মেঘের প্রাণপ্রিয় বাবার চোখেও তাকে ছোট করার জন্য রীতিমতো তৎপর হয়ে উঠেছে ময়ূরী। মেঘের নাম করে ভুয়ো প্রেমপত্র পাঠিয়ে সৌরনীলকে রায়চকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে সে। আবার মেঘের বাবা অনিন্দ্য বাবুকেও সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে সে।
মেঘ আর জিষ্ণুও রায়চকে পৌঁছেছে গানের অনুষ্ঠানের জন্য। কিন্তু সেখানেই মেঘের পানীয়র মধ্যে ওয়েটারের মাধ্যমে কিছু একটা মিশিয়ে দেয় রূপ। যাতে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে মেঘ। এরপর টেবিল থেকে উঠে দাঁড়াতে গেলে মাথা ঘুরে যায় মেঘের। মাতলামো করতে থাকে মেঘ। বিষয়টা সন্দেহজনক লাগে জিষ্ণুর। আর সেই মুহূর্তই ক্যামেরামন্দি করে নেয় রূপ। যাতে সেটা সৌরনীলকে ও তার বাবাকে দেখাতে পারে। আর নিজের প্রাণপ্রিয় ছোট মেয়ের এই অবস্থা দেখে এবার কী হয় অনিন্দ্যবাবুর সেটাই দেখার।
