গুড্ডির অপমানের জবাবে রেশমির দিকে বন্দুক তাক করেছিল নতুন বাবা অঙ্কুশ! মায়ের নতুন বরের বিরুদ্ধে পুলিশে গেল রেশমি-পুবলু! হচ্ছেটা কী গুড্ডিতে?

বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে সবথেকে বিতর্কবিদ্ধ ধারাবাহিক হচ্ছে গুড্ডি (Guddi)। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে সবথেকে নোংরা ধারাবাহিকের তকমা পেয়েছে। গল্পের মাথা মুন্ডু তো বহুকাল যাবৎই নেই। দর্শক বহুবার এই ধারাবাহিক বন্ধের আর্জি জানালেও তা খুব একটা শোনার পরোয়া করেননি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।

এই‌ ধারাবাহিকের নায়িকার থেকে বেশি চরিত্রহীন বোধহয় এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় আর কেউ নেই। গুড্ডি নামক এই মহিলা যাকে পায় তাকেই ধরে। আজ কেউ অত্যন্ত আপন হয়ে উঠলেও পরক্ষণেই আবার সেই পর হয়ে যেতে পারে। এই ধারাবাহিকের গল্প জুড়ে টুইস্টের ঘনঘটা রয়েই গেছে। এসেই চলেছে একের পর এক নতুন চরিত্র।

এই যেমন প্রথম প্রজন্মের গল্প শেষে দ্বিতীয় প্রজন্মের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক। মনে করা হয়েছিল ঋতুরাজ এবং ঋতাভরীর গল্প দিয়েই এগিয়ে চলবে গুড্ডি ধারাবাহিকটি। কিন্তু কোথায় কি! ধারাবাহিকে হাজির গুড্ডির ক্রিমিনাল নায়ক অঙ্কুশ। ড্যাংড্যাং করে সবকিছু ভুলে সব প্রতিশ্রুতি চুলোয় দিয়ে তাকে বিয়ে করে নিয়েছে গুড্ডি।

কিন্তু কেন মায়ের নতুন বরের বিরুদ্ধে থানায় গেল পুবলু-রেশমি?

যদিও গুড্ডির এই বিয়েতে মত ছিল না তার পালিতা কন্যা রেশমির। আগে এই রেশমি অর্থাৎ রিতা মনি কি জীবনে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যুধাজিৎকে অবজ্ঞা করত গুড্ডি। এমনকি রেশমিকে বড় করার জন্য নিজের সন্তান নিতেও চায়নি সে। আর আজ সেই মেয়ে মায়ের এই বয়সে বিয়ে মেনে নিতে না পারায় তাকে প্রতি পদে পালিতা কন্যা বলে অপমান করতেও বাধেনা গুড্ডির।

গুডটি অঙ্কুশের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি রেশমি। স্বামী পুবলু অর্থাৎ ঋতুরাজকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মায়ের বিয়ের গায়ে হলুদে এসে মাকে যাচ্ছে কিভাবে অপমান করে সে। আর হবু স্ত্রীর এই অপমান সহ্য করতে পারেনি ক্রিমিনাল অঙ্কুশ। স্বভাব বশত বন্দুক বার করে ফেলে সে। দেখায় ভয়। আর এত বড় ঘটনার পর চুপ করে বসে থাকেনি রেশমি আর পুবলু। মায়ের নতুন বরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে তারা। যদিও সেখানে মেয়ে নয় বরং নিজের বরের হয়েই সলিশি করতে থাকে গুড্ডি। এবার দেখার কি হয় এই ধারাবাহিকে।