অঘটন যেন পিছু ছাড়ছে না সিংহরায় পরিবারের। একের পর এক ডিল তাদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে আবার বনি কুনালের সম্পর্কও ভেঙে যাওয়ার জোগার। এই পরিস্থিতিতে দত্তরা একাধিক মাত দিয়ে যাচ্ছে সিংহরায়দের। তার মধ্যে আবার দত্তরা চক্রান্ত করে খড়িকে তাদের ডিজাইনার হিসাবে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছেন।এই পরিকল্পনার কিছুই জানত না খড়ি। তবে তাদের এই চক্রান্তের কোনো প্রভাব পড়েনি ঋদ্ধি আর খড়ির সম্পর্কে। খড়ি তাদেরই পাতা ফাঁদে তাদেরকেই ফেলার পরিকল্পনা করেছে।
কিন্তু উল্টোদিকে দত্তরাও চুপচাপ বসে নেই একটি জুয়েলারি অ্যাওয়ার্ড শোতে সিংহরায় জুয়েলার্স যাতে কোন ভাবে সেরার শিরোপা মাথায় তুলতে না পারে সেই চক্রান্ত করেছে। তার জন্য তাদের গয়নার ডিজাইন, থিম চুরি করে নেয় দত্তরা। এ ছাড়া তারা যাতে মঞ্চে আসতেই না পারে তার জন্য তাদের মডেলদের শো শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বেশি টাকা দিয়ে কিনে নেয়।
এসব কিছুর মধ্যে দিয়েও খড়ি কিছুতেই হার মানতে নারাজ। মডেল নেই তো কি! খড়ির বুদ্ধিতে সিংহরায় পরিবারের মহিলারাই হন গয়না প্রদর্শনীর মডেল। বহুবার তাদের মনোবল ভেঙ্গে গেলেও খড়ি শক্ত হাতে তাদের মনোবল বাড়িয়ে যান।
শেষে খড়ির বুদ্ধিতেই আধুনিক এবং তাদের সাবেকি গয়নার মেলবন্ধন ঘটিয়ে “গাঁটছড়া কালেকশন” প্রদর্শন করা হয়। সেই শো তে সবাই এই প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ। তবে অন্যদিকে ঋদ্ধির চোখ আটকে খড়িতেই, হীরের গয়নায় বধূ রূপে সজ্জিত খড়িকে এক দৃষ্টিতে মুগ্ধ হয়ে দেখে যাচ্ছে ঋদ্ধি।
এরপরেই সেই শোয়ের ফল ঘোষণা হয় আর সেরার শিরোপা ওঠে সিংহরায় জুয়েলার্সের মাথায়। আর সেই আনন্দে খড়িকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিল ঋদ্ধি। সেই দৃশ্য দেখে দর্শকরা আনন্দের সাথে সাথে লজ্জাও পেয়েছে। এমন সুন্দর মুহূর্ত দেখে “গাঁটছড়ার” ভক্তরা বেজায় খুশি। তাদের বক্তব্য এবার আর কেউ আলাদা করতে পারবে না ঋদ্ধিমান আর খড়িকে।
