জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। বর্তমানে ধারাবাহিকের দর্শকরা মন মজেছে অন্য ধারার গল্পে। নারীকেন্দ্রিক ধারাবাহিকগুলি ছক্কা হাঁকাচ্ছে টিআরপি তালিকায়। কার কাছে কই মনের কথার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মানালী দে (Manali Dey)। শুরুতে এই ধারাবাহিকের গল্প পারিবারিক ড্রামাকেন্দ্রিক হলেও, এই মুহূর্তে টিআরপি টানতে শিমুল ও তার জীবনযুদ্ধকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে ধারাবাহিক।
ধারাবাহিকের গল্পে, চন্দনের পরকীয়া ধরে ফেলেছে শিমুল। বিপাশাকে সরাসরি বলতে গেলে শিমুলের কথা বিশ্বাস করে না সে। এমনকি সুচরিতারাও অবিশ্বাস করে শিমুল। কারণ চন্দনের উপর এত বড় দোষ দেওয়ার আগে চাই অকাট্য প্রমাণ। যা সেই মুহূর্তে শিমুলের কাছে ছিল না।
এদিকে, সরাসরি এ বিষয়ে কথা বললে চন্দন জানায় সে শুধু বিপাশাকে ভালোবাসে। তার সঙ্গে বুড়ো হতে চায়। আর সন্তান? আরও ভাল ডাক্তার দেখাবে তারা। একে অপরের পাশে থেকে একসঙ্গে থাকার লড়াই করে যাবে। তবে শিমুল তাদের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি। কেন সে বিপাশা আর চন্দনের সম্পর্কের মাঝে এসে ছিনিমিনি খেলছে! স্বামী-স্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক না গলালেই নয়।
গল্পের অন্যদিকে, হাসপাতাল থেকে পরাগকে ডিসচার্জ করে এনেছে শিমুল। নিজ দায়িত্বে পরাগকেন বাড়ি এনে তার যত্ন নিচ্ছে। প্রাক্তন স্বামীর জন্য এহেন ভালোবাসা পলাশের আলগা পীড়িত মনে হয়। শিমুলকে যা নয় তাই বলতে থাকে সে।
আরো পড়ুন: “বিবাহ বিচ্ছিন্ন পুরুষকে বিয়ে করা উচিৎ নয়!” উনি ছেলের কাস্টডি চাননি বলে আমি কৃতজ্ঞ! অকপট পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়
মধুবালা তখন ধমক দিয়ে চুপ করায় পলাশকে। বলে শিমুল নিঃস্বার্থ ভাবে এই পরিবারের জন্য এতকিছু করেছে, তবুও সে মন পায় না। শিমুলের ভাগ্যে জোটে কটু কথা আর অন্যায়। ধারাবাহিকের গল্পে এই মুহূর্তে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে পরাগ আর শিমুলের। দর্শক ভেবেছিলেন হয়ত শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিক ফিরে আসবে শিমুলের জীবনে। তবে ধারাবাহিকের গল্প যেদিকে মোড় নিচ্ছে তাতে মনে হয় শতদ্রু নয়, ফের পরাগের সঙ্গে ঘর বাধবে শিমুল।