জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) এসেছে নতুন চমক। অবশেষে পরাগকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল। তাদের এই সিদ্ধান্তে খুব খুশি হয় ব্যানার্জী বাড়ির সকলেই। মধুবালা দেবী কাঁদতে শুরু করেন শিমুলের এই সিদ্ধান্তে। তারপর শিমুলকে সাজাতে নিয়ে চলে যায় বিপাশারা। বিপাশা শিমুলকে বলে তাকে ভালো করে সাজিয়ে দেবে তারা।
তখন শিমুল বলে সেই সাজতে চায়না। সে পরাগকে বিয়েটা ভালোবেসে করছে না। সে শুধু করছে পরাগের অনুরোধ রাখার জন্য। এই বিয়েটা সে করছে এই পরিবারের জন্য তার কাছে আর কোন কারণ নেই এই বিয়েটা করার। তখন সুচরিতা বলে তাও এটা একটা অনুষ্ঠান। আর তার অনুষ্ঠান সেখানে যদি সে না সেজেই চলে যায় তাহলে সেটা ভালো দেখায় না। তখন বিপাশাও বলে তাকে সাজতে। জীবনের ভালো মুহূর্তগুলো ভালো করে কাটিয়ে নিতে কারণ ২ ঘণ্টা পরেও কি হবে কেউ জানে না।
বিপাশা এও বলে তার জীবন থেকেও এখন সেই সাজ চলে গেছে। হয়তো সে অনুষ্ঠানে সাজবে কিন্তু মন থেকে সাজা আর হবে না তার। এটা শুনে শিমুল তাকে বলে কষ্ট না পেতে। তার জীবনেও ভালো কিছু থাকবে নিশ্চয়ই। তখনই শিমুল বলে ওঠে শতদ্রুর কথা। শিমুল বলে শতদ্রু তাকে কত ভালবসেছিল কিন্তু সে তার ভালোবাসার দাম দিতে পারেনি কখনও। সবসময় শতদ্রুকে সে কষ্ট দিয়েছে। শতদ্রু তার জন্য সব ছেড়েছে কিন্তু সে তার জন্য কিছু করতে পারল না।
তখন বিপাশা বলে হয়তো তার কপালে শতদ্রু নেই। কারণ যতবার তাদের বিয়ে ঠিক হয়েছে, প্রতিবার তাদের বয়ে ভেঙেছে। তখন শিমুল বলে সে চাকরি করবে না কিন্তু সকলেই তাকে বুঝিয়ে বলে তার চাকরিটা করা উচিত। ওদিকে পরাগকে কয়েকজন ছেলে সাজাচ্ছে। তারা বলে পরাগ ভাগ্যবান যে শিমুলের মত মেয়েকে আবার জীবনে পেয়েছে। তখন পুতুলও বলে চন্দন পড়ে তাকে খুব ভালো মানাছে। কিন্তু পরাগ বলে খুব শীঘ্রই সে আবার চন্দন পড়বে মরার সময়। সেটা শুনে পুতুল আর তীর্থ বলে এই সব কথা না বলতে।
আরো পড়ুন:জেল ফেরার মিশকার এবার দ্বিতীয় টার্গেট সোনা! অর্জুনের বাড়িতে এসে খু’নে’র পরিকল্পনা কুটনির
এদিকে বাড়িতে চলে আসে রেজিস্ট্রি অফিসার। তিনি বলে কারুর বিয়ে করার পর বিয়ে হচ্ছে দেখে তিনি খুব খুশি। তখন তুতুল আসে পরাগকে বলে নিয়ে যেতে। পরাগকে তুলতে গিয়ে খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যায় তীর্থ আর পুতুলের। তখন পরাগ বলে সে আর হাঁটতে পারবে না। কিন্তু পুতুল তাকে বলে শিমুল আবার তাকে সুস্থ করে তুলবে। ওদিকে তুতুল বিপাশাদেরও বলে শিমুলকে নিয়ে যেতে। তারপর সকলের সামনে রেজিস্ট্রি করে সম্পন্ন হয় বিয়ে। এটা দেখে খুব খুশি হয় সকলেই। তাহলে কি এবার জন্ম জন্মান্তরের জন্য বিয়েতে বাধা পড়ল পরাগ আর শিমুল নাকি সত্যি আবার ঝড় উঠবে তাদের জীবনে।