বিশ্বাসঘাতকতা করেছে মা ও বউ! রাগে বাড়ি ছাড়ছে সূর্য! বাবাকে আটকে দিল সোনা-রূপা
বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে সবথেকে ঘ্যানঘ্যানে, একঘেয়ে ধারাবাহিক কোনটি? এই প্রশ্ন করলে নিঃসন্দেহে ধারাবাহিক প্রেমীরা এক বাক্যে উত্তর দেবেন স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে দর্শকদের চোখে অন্যতম খারাপ ধারাবাহিকে পরিণত হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটা সময় টিআরপি তালিকায় রাজত্ব করা এই ধারাবাহিকটি শুধুমাত্র নিজের একঘেয়ে গল্পের কারণে পিছিয়ে পড়েছে এবং আগামী দিনে এই ধারাবাহিকটি যে আরও নিম্নমুখী হবে তা বলাই বাহুল্য। আসলে গল্পের ট্র্যাকে কোনও পরিবর্তন নেই। যে নায়ক নায়িকার মিলন দেখার জন্য দর্শকরা দীর্ঘদিন ধরে হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছেন সেখানে মিলন দেখানো তো দুরস্ত ক্রমশ বিচ্ছেদ দেখানো হচ্ছে।
কেন এত অবুঝ সূর্য?
সেইসঙ্গে নায়কের চূড়ান্ত পর্যায়ের বোকামি দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন দর্শকরা। নায়ক দর্শকদের চোখে খলনায়কে পরিণত হয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনও হেলদোল নেই এই ধারাবাহিকের পরিচালকের। সেই এক ঘেয়ে গল্পের ট্র্যাক এক বছরের অধিক সময় ধরে দেখিয়ে চলেছেন তিনি। সূর্য-দীপার বাচ্চা কী করে হল এই প্যানপ্যানে ট্র্যাক আর দেখতে পছন্দ করছেন না দর্শকরা।
ভুল বোঝা ছাড়া এই ধারাবাহিকের নায়কের আর কোনও কাজ নেই। সূর্যর মাথায় নূন্যতম বুদ্ধি আছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দর্শকরা। এই যেমন মিশকা তাকে ভুল রিপোর্ট দেখিয়ে বুঝিয়েছে যে, তার মধ্যে বাবা হওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই সে কোনদিনই বাবা হতে পারবেনা। আর সেটাই মাথায় ঢুকিয়ে নিয়েছে সে। আর সেই কারণবশতই সূর্যর মনে ধারণা হয় যে সোনা-রূপা যদি দীপার সন্তান হয় তাহলে সে তো বাবা নয়। কারণ বাবা হওয়ার ক্ষমতাই নেই তার। এরপরই তার ধারণা হয়, কবীরের সঙ্গে দীপার অবৈধ সম্পর্কের কারণেই সোনা-রূপার জন্ম।
সম্প্রতি দীপাও জেনে গেছে যে সে জমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। অন্যদিকে সোনাও জেনে গেছে তার আসল মা তার ফুলমাই। আর এই কর্মকাণ্ডের পিছনে ছিল সূর্যর মা লাবণ্য সেনগুপ্ত। তিনিই সোনাকে দীপার পাশ থেকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন। তারপর থেকেই অনাথের পরিচয় বড় হয়েছে সোনা। যদিও সূর্যকে সে নিজের বাবা বলেই জানত। আর সোনাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসে সূর্য। আর দীপা জানত তার একটাই মেয়ে রূপা।
সোনা-রূপা কি পারবে নিজেদের বাবার বাড়ি থেকে চলে যাওয়া আটকাতে?
যদিও সোনা মনে করে সূর্যই তার বাবা এবং ফুলমাই তার মা। দীপের অন্নপ্রাশনের দিন দীপাকে ফের একবার বাড়ির সমস্ত লোকের সামনে অপমান করে। সূর্য ভুল বুঝে দীপাকে বলে, কবীর এবং তার অবৈধ সম্পর্কের ফল সোনা, আর তাকেই সূর্যর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল দীপা। এমনকি তার মা লাবণ্য সেনগুপ্ত যে সোনাকে দীপার পাশ থেকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন এবং তিনি সমস্ত সত্যি জেনেও কিছু বলেননি তা নিয়েও বিস্তর চেঁচামেচি করে বিশ্বাসঘাতকতার দুঃখ নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছিল সূর্য। এই সময়ই বাড়িতে ঢোকে সোনা-রূপা, বাবার কষ্ট দু’চোখে সহ্য করতে পারে না সোনা। সে তার বাবাকে বোঝায় সেই তার বাবা আর ফুল মা তার মা। সেই কথা মানতে নারাজ সূর্য। সোনা-রূপা কি পারবে নিজেদের বাবার বাড়ি থেকে চলে যাওয়া আটকাতে?
View this post on Instagram