কথায় বলে মায়ের থেকে সাহসী যোদ্ধা পৃথিবীতে আর কেউ নেই। সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে পারে না এমন কোন কাজ একজন মায়ের কাছে নেই। তাই বেশিরভাগ সময়ে মায়েদের কাছে পৃথিবীর যে কোন ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ংকরতম শক্তিও হার মানতে বাধ্য হয়। এই ভিডিও আবার সেই প্রমাণ দিল।
ভিডিওটি একজন মায়ের লড়াইয়ের। পাশবিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের। সন্তানকে বাঘের মুখ থেকে কেড়ে নিয়েছেন তিনি। সুস্থভাবে ফিরিয়ে এনেছেন নিজের ছেলেকে। ভিডিওটি মধ্যপ্রদেশের।
একজন মা নিজের রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও সন্তানকে রক্ষা করতে কোনও কসুর রাখেন না। মধ্যপ্রদেশের ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে বারিঝিরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কিরণ নিজের সন্তানদের নিয়ে বাড়ির বাইরে বসে রান্না করছিলেন। সেই সময় একটি চিতা বাঘ জঙ্গল থেকে হুট করে চলে আসে। কিরণ বুঝতে পারেননি সেটা। কিছু বুঝে উঠার আগেই কিরণের ৮ বছর বয়সী ছোট ছেলেটিকে মুখে করে নিয়ে পালায় চিতাবাঘটি। আগুপিছু না ভেবেই সব ফেলে বাঘের পিছনে দৌড়ান কিরণ।
প্রায় এক কিলোমিটার তিনি নাকি দৌড়েছিলেন ঐ বাঘটির পেছনে। ততক্ষণে বাঘটি তাঁর সন্তানকে মুখে করে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে গেছে। প্রথমে কিরণ ঠান্ডা মাথায় তাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু ছেলেকে বাঁচাতে যে তিনি বাঘের কাছে গেলেন অমনি বাঘটি হামলা করল তাঁর উপর।
তবে সেই আক্রমণ তুচ্ছ মনে হয়েছিল কিরণের কাছে। তখন একটাই লক্ষ্য নিজের সন্তানকে সুস্থ সবলভাবে ফিরিয়ে আনা। তাই লাঠি দিয়ে পাল্টা আঘাত করতে থাকেন চিতাবাঘটির উপর। শেষমেষ ওই মহিলার জেদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে নেয় চিতাবাঘটি। ছেলেটিকে ফেলে দিয়ে দৌড় লাগায় সে আর সেখান থেকে বিদায় নেয়। শেষমেষ সফল হলেন এক মা।
এই কাহিনীটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভূত প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাঘের সঙ্গে এক মহিলার সংগ্রামের কাহিনীতে জয়জয়কার তাঁর। এমনকি সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী কিরণকে প্রণাম জানিয়েছেন। এমন মায়ের যুদ্ধকে শতকোটি কুর্নিশ।