বাংলা ধারাবাহিক নিয়ে সবসময়ই তুমুল বিতর্ক চলে দর্শকদের মধ্যে। অনেকের মত, টেলিভিশনের ধারাবাহিকগুলি এখনকার সংস্কৃতি নষ্ট করছে। বাংলা ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে বারবার সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে (Leena Gangopadhyay)। অনেকের মতে, একসময় তারা ধারাবাহিক উপভোগ করতেন, কিন্তু এখনকার ধারাবাহিকের গল্পগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। এখনকার ধারাবাহিকের গল্পগুলিতে নতুনত্বের অভাব রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির কুট কাচালি, স্বামীর বারবার বিয়ে, বিরক্তিকর জিনিসপত্র রয়েছে এখন তার ধারাবাহিকগুলোতে।
যদিও সমালোচনা প্রসঙ্গে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay) বলেন, “কেউ জোর করে সিরিয়াল দেখতে বলে না। যেটা ভালো না লাগে, সেটা না দেখলেই হয়। তবে একটি শিল্প মাধ্যম, যা অনেক মানুষের জীবিকার সঙ্গে জড়িত, তাকে ছোট করা উচিত নয়।” তবে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকের গল্পগুলো কি সত্যিই গ্রহণযোগ্য? শুধুমাত্র দর্শকদের চাহিদা মেটানোর জন্যই এমন গল্প? তবে এই গল্পের প্রতি দর্শকদের আদতে আগ্রহ রয়েছে? এসব নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Leena Gangopadhyay) মতে, “মানুষ সিরিয়াল না দেখতে পারেন, কিন্তু এখনকার নিউজ চ্যানেলগুলিতে যে কুটকাচালি এবং চেঁচামেচি হয়, তার দায় কে নেবে? খবর তো মানুষকে দেখতেই হবে, কিন্তু তখন কেউ ভাবে না যে এত উত্তেজনা মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাহলে সিরিয়ালের দিকে বারবার আঙুল তোলা হয় কেন?”
যারা ধারাবাহিক দেখতে পছন্দ করেন না, তারা এড়িয়ে যেতে পারেন। তবে দর্শকেরা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Leena Gangopadhyay) ধারাবাহিকগুলিকে এক সুতোয় বাঁধতে চান। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নাকি প্রত্যেক ধারাবাহিকেই সংসারিক অশান্তি টেনে আনেন। তবে দর্শকেরা লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘লিনা পিসির প্রত্যেক সিরিয়ালে একটা পাগল থাকবে, আর নায়িকার সাথে খুব মিল থাকবে। ঠিকমত কথা বলতে পারবেনা। কিন্তু সুন্দর সুন্দর গান পারবে।’
আরও পড়ুন: এখনও কলেজের গন্ডি পেরোননি আরাত্রিকা, মিঠিঝোরার রাইয়ের পারিশ্রমিক জানেন কত? শুনলে চমকে উঠবেন
হ্যাঁ এটা কিন্তু ঠিক। সে জল নুপুরের পানি পাগলী হোক, কিংবা কার কাছে কই মনের কথার পুতুল, আবার এখন রোশনাই ধারাবাহিকের মিলি। এই তিনটি চরিত্র ও যেন একেবারে একরকম। চরিত্রগুলো দেখে এই দর্শকরা কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। কেউ বলছেন, ‘কি লজিক রে বাবা’।