তিনি ঘোর শ্যামবর্ণা সেজন্য তাকে ছোট্ট থেকে কটাক্ষ শুনে আসতে হয়েছে।তিনি বড় হয়ে বিয়ে করা ছাড়া আর কিছু করতে পারবেন না এরকমও তিনি শুনেছিলেন এবং তার গায়ের রং এর জন্য ভালো ছেলেও পাবেন না এটাও শুনতে হয়েছিল তাকে কিন্তু কাটোয়ার মেয়ে শ্রুতি দাস একদম অন্য ধাতুতে গড়া। নিজের গায়ের রংকে নিজের প্রতিবন্ধকতা নিজের প্রতিভা বানিয়েছে শ্রুতি। কখনো কোনদিনও গায়ের রং কালো বলে হীনমন্যতায় ভোগেনি সে। এই গায়ের রং নিয়ে এসে টলিউডে দুটো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে পরপর কাজ করেছে।
দেশের মাটি ধারাবাহিকের নোয়া চরিত্রে তার ধারাবাহিক তাকে অনেক কিছু দিয়েছে কিন্তু জি বাংলার ত্রিনয়নী ধারাবাহিক তাকে জীবনের সবকিছু দিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন শ্রুতি।কয়েক ঘন্টা আগে এরকমই একটি বক্তব্য তিনি নিজের ফেসবুকে রেখেছেন যেখানে তিনি লিখেছেন যে ত্রিনয়নী তে অভিনয় করে তিনি জীবনের সবকিছু পেয়ে গেছেন। ত্রিনয়নী তাকে বাঁচার রসদ দিয়েছে।
সত্যি কথা বলতে ত্রিনয়নীতে তার অভিনয় দুর্দান্ত ছিল এবং এই ধারাবাহিক থেকেই তিনি পেয়েছেন নিজের মনের মানুষ স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারকে। একটা সময় ছিল যখন ত্রিনয়নী টিআরপির রেটিং লিস্টে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল। নাকি এখনো বেশিরভাগ মানুষ নোয়ার থেকে বেশি ত্রিনয়নী বলেই চেনে।
অন্যদিকে বর্তমানে কোন ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছেনা শ্রুতিকে। তাহলে কি সিরিয়াল নির্মাতারা তাকে আর ডাকছেন না? এই নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।আবার অনেকেই বলছেন যে স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার তো তাকে কোন সিরিয়ালে নিতে পারতেন কিন্তু শ্রুতির অনুরাগীরা বলছেন তাহলে তো স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠত। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ফটোশুট এবং মিউজিক ভিডিওর কাজ করছেন শ্রুতি এছাড়াও বাঁকুড়াতে তিনি অভিনয় শেখাতে গিয়েছিলেন।সব মিলিয়ে ধারাবাহিকে কাজ না করলেও নিজেকে ব্যস্ত রেখে যাব শ্রুতি এবং তিনি আশা করছেন যে ভবিষ্যতে ভালো কাজ তিনি আবার পাবেন।