কর্মই মানুষের পরিচয়।তবে আজও কেন একুশ শতকে দাঁড়িয়ে একজন নারীকে তার গায়ের রঙের জন্য ট্রোল হতে হয়? সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের সঙ্গে। যার জেরে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
২০১৯ সালে জি বাংলা ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’-এর মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে শ্রুতির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে স্টার জলসায় ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে নোয়ার ভূমিকায় তিনি অভিনয় করছেন।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রুতি জানান, নেটিজেনদের মধ্যে একাংশ মনে করেন রুকমা রায় বা পায়েল দে -র মতো অভিনেত্রী থাকতে শ্রুতিকে নায়িকা হিসেবে কাস্ট করা একেবারেই অর্থহীন।
অভিনেত্রী আরও জানান, সম্প্রতি নেটিজেনদের একাংশ ব্ল্যাকবোর্ড বলে ডাকতে শুরু করেছেন তাকে। ত্রিনয়নী ধারাবাহিক শুরু হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর স্বর্ণেন্দু-শ্রুতির মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। অনেক নেটিজেনরা তাই কটাক্ষ করে বলেন স্বর্ণেন্দুর সাথে সম্পর্কের ফলেই শ্রুতি কাজ পাচ্ছেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, উপমা নামে এক নেটনাগরিক বলেছিলেন রুকমার মত সুন্দরী অভিনেত্রী থাকতে শ্রুতিকে অযথা প্রাধান্য দিয়ে দেশের মাটি সিরিয়ালটাকে উচ্ছন্নে পাঠানো হচ্ছে। যদিও এর উত্তরে অভিনেত্রী মজার সুরে কথা বলেন।
তবে বারবার গায়ের রং নিয়ে ট্রোল হতে হতে অভিনেত্রীর সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর তাই তিনি অনলাইন অ্যাবিউজের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ছোটবেলা থেকেই সকলকে শেখানো হয় মানুষের ব্যবহারই মানুষের পরিচয়। আর যেখানে দেশের নারীরা এরোপ্লেন, জেট বিমান থেকে শুরু করে পুলিশ বা একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে নিজেদের প্রমাণিত করছে। সেখানে দাড়িয়ে আজও নারীদের গায়ের রং নিয়ে ট্রোল হতে হয়। তবে কি নারীদের উন্নতি ঘটলেও মানুষের মনের, সর্বোপরি সমাজে নারীদের নিয়ে ভাবনাচিন্তার কোন পরিবর্তন আসেনি? একজন নারীকে অভিনয় দক্ষতার জোরে অভিনেত্রী হতে গেলে গায়ের রঙ কালো হলে তা দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না? এই প্রশ্নটাই বারবার উঠে আসে শ্রুতির ট্রোল হওয়ার ঘটনার মধ্যে দিয়ে।
View this post on Instagram