কোয়েল মল্লিক। বাঙ্গালীদের কাছে এই নামটি একটি আবেগ। এই আবেগের যাত্রা শুরু নাটের গুরু সিনেমার মধ্যে দিয়ে। বাংলা সিনেমার “বেল্ট ম্যান” রঞ্জিত মল্লিকের কন্যা কোয়েল মল্লিক অতি সাধারণ জীবন যাপন করেন। অভিনয় তো আছেই কিন্তু নায়িকার এই সাধারণ জীবন যাপন আকৃষ্ট করেছে অজস্র ভক্তদের।
কিন্তু স্বজন পোষণ দিয়ে নয় কোয়েল ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করেছেন নিজের যোগ্যতা দিয়ে। অভিজাত পরিবারের মেয়ে হলে কী হবে ছোট থেকেই বাবা-মায়ের কড়া অনুশাসনে বড় হয়েছেন। তাই কলকাতার বিখ্যাত ভবানীপুরের মল্লিক পরিবারের মেয়ে কখনও পরিবারের ঐতিহ্যের গায়ে আঁচড় লাগতে দেননি।
টলিউডের প্রথম শাড়ির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সচরাচর মানুষের মাঝে আনতে নারাজ কোয়েল। তাই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের নানা তথ্য আজও অনেকের কাছে অজানা থেকে গেছে। তবে তার ভক্তদের জন্য একটি গোপন তথ্য শেয়ার করলাম আমরা। কোয়েল নিজেই এই তথ্য দিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে।
কোয়েল আড্ডার সময় ছোটবেলায় গৃহ শিক্ষকের থেকে পাওয়া প্রেম প্রস্তাবের গল্প শুনিয়েছিলেন সেই বিশেষ সাক্ষাৎকারে। তখন তিনি ক্লাস সেভেনে পড়েন। দেখতে গেলে বয়সের দিক থেকে তখন নায়িকা নাবালিকা। তার সায়েন্স টিচার তখন সবে কলেজ থেকে পাশ করেছেন এবং চাকরি খুঁজছেন। কোনভাবে তিনি কোয়েলকে পড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
একদিন পড়াতে এসে সরাসরি কোয়েলকে বলে বসে ছিলেন যে তোমাকে আজকে একটা কথা বলব। আগে আজকের পড়া শেষ করে নাও। সেটাই ছিল শিক্ষকের মনের কথা প্রকাশের একটা আভাস কিন্তু কোয়েল বুঝতে পারেননি। যথারীতি পড়া শেষ হল। তারপর শিক্ষক কথা মত বললেন মনের কথা। বললেন সেই থ্রি ম্যাজিকাল ওয়ার্ডস। এগুলো শুনে চমকে উঠেছিলেন কোয়েল। সেদিন শিক্ষক চলে যাওয়ার পর কোয়েল নিজের মাকে সবটা খুলে বলেছিলেন।
এরপর গোটা ব্যবস্থা কোয়েলের মা নিজেই করে দিয়েছিলেন। সেই শিক্ষককে আর কখনও পাড়াতে ঢুকতেও দেননি। তবে এই ব্যাপারে বাবা রঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গে মেয়ে হিসেবে কোয়েল কিছু শেয়ার করতে পারেননি। তবে তিনি অনুমান করেন তার মা হয়তো বাবাকে সবটা বলে দিয়েছিলেন।