Lopamudra Mitra: ‘ওই নেমে যা…’! স্টেজের মধ্যেই চরম অপমানিত লোপামুদ্রা! ছেড়ে কথা বললেন না তিনিও

লোপামুদ্রা মিত্র। তার কণ্ঠস্বরেই তার পরিচয়। বাঙালিদের কাছে এই গায়িকার পরিচয় একেবারে অন্যরকম ব্যক্তিত্ব আর গানের গলাকে কেন্দ্র করে। চিরাচরিত গানের চেয়েও বরাবর অন্যরকমের গানেই তিনি অভ্যস্ত। তাই তার গুণমুগ্ধদের কাছে তার পরিচয় আর পাঁচটা শিল্পীর মতো নয়।

এ হেন প্রসিদ্ধ শিল্পী এত বছরের কর্মজীবনে প্রথমবার এত বড় অপমানের মুখে পড়লেন। স্টেজে গান গাইতে উঠে জুটলো তিরস্কার আর কটু কথা। এমন অভিজ্ঞতা এর আগে তার হয়নি। অবশ্য এটা অভিজ্ঞতা শুধু নয়, বলা যায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। ঠিক কী ঘটেছিল?

এখন নাকি গান গাইতে গেলে আর সুর-তাল বোধ থাকার দরকার নেই, যেটা দরকার সেটা হলো অটোটিউন। এতেই নাকি কেল্লাফতে হয়ে যাবে। ঠিক এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছিলেন গায়িকা কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। তারপর আবার মুখ খুললেন লোপামুদ্রা। তাহলে কি বাংলা গানের প্রতি মানুষের মধ্যে জন্মাচ্ছে অনীহা? মাচা শো করতে গিয়ে যে চিত্র দেখেছেন লোপামুদ্রা সেটা এদিকেই ইঙ্গিত করছে।

এক ওয়েব প্ল্যাটফর্মে পুরো ঘটনা শেয়ার করেছেন লোপামুদ্রা। আমডাঙায় হয়েছে সেই অনুষ্ঠান। সেটা আবার ছিল পুলিশের এক অনুষ্ঠান যেখানে তাকে ১ ঘণ্টার জন্যে ডাকা হয়। মঞ্চে উঠে নিজের আইকনিক সব গান, ‘হৃদমাঝারে, ধাধিনা নাতিনা, আয় আয় কে যাবি’ গাইছিলেন লোপামুদ্রা। কিন্তু ওদিক থেকে অনর্গল তার উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে “অ্যাই নেমে যা, অ্যাই নেমে যা”।

এ তো গেল অসম্মানের প্রথম ধাপ। এরপর তিনি দেখেন তার স্টেজের পর ঠিক দর্শকদের আসনে সামনের সারিতে বসে কিছু শ্রোতা বিড়ি খাচ্ছিল। তিনি ওদের তুইতোকারি করে সম্বোধন করে বলেন বলি, ‘অ্যাই বিড়ি খাচ্ছিস কেন?’ তারপরেই রেগে বলেন, ‘খা বিড়ি। বাড়িতে বোন আছে, মা আছে? তুই মরে গেলে আর কার কী এসে যায় বল?”

তবে এতকিছুর পরেও পেশাদারিত্বের কথা মাথায় রেখে সেদিন সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান শেষ করেছেন তিনি। উপরন্তু জবাব দিয়েছেন তাদের যারা কটু কথা বলছিল। লোপামুদ্রা তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “অ্যাই শোন আমাকে এখানে ডাকা হয়েছে এক ঘণ্টা গান গাওয়ার জন্য। এক ঘণ্টার আগে যদি কেউ আমাকে স্টেজ থেকে নামাতে পারে, নামিয়ে দেখা।”