আজ সপ্তমী। পুজোর আসল আমেজ শুরু আজ থেকেই। দিকে দিকে আলোর রোশনাই, মানুষের কোলাহলে গমগম করতে থাকে প্রতিটি পুজো মণ্ডপ। সাধারণ মানুষ হোক কিংবা তারকা প্রত্যেকের কাছেই পুজোর এই পাঁচটা দিন অত্যন্ত কাছের এবং অত্যন্ত অপেক্ষার। কারণ বহু মানুষের কাছে এই পাঁচটা দিন হলো বাড়ি ফেরার, পুরনো সবকিছু নতুন করে ঝালিয়ে নেওয়া।
পুজোর এই কটা দিন আগে থেকে প্রতিটি বাঙালির মনে মনে একটাই বিষয় বাজতে থাকে আর সেটা হল কবে নতুন জামা পরবো। হ্যাঁ, পূজায় নতুন জামা নতুন ফ্যাশন নতুন স্টাইল নতুন ট্রেন্ড তৈরি করা হাল আমলের ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এতে তারকাদের থেকে এখন পিছিয়ে নেই সাধারণ মানুষেরাও।
তবে এই পুজোর সাজে আবার কটাক্ষের শিকার হলেন অভিনেত্রী এবং সাংসদ নুসরত জাহান। এর আগে বহুবার পুজোর সময় ধর্মীয় কারণে ট্রোলড হয়েছেন তিনি। বহু জায়গায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে অ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও কেন তিনি পূজোয় অংশগ্রহণ করেন, শঙ্খ বাজান, উলু দেন বা ঢাকা স্পর্শ করেন আবার সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। তবে সমালোচনাকে বরাবর পাত্তা দেন না তিনি। আর এবারেও তাই সমস্ত সমালোচনা কে দূরে সরিয়ে রেখে সিঁথি ভর্তি সিঁদুর পরে পুজোর সাজা হাজির হলেন এই অভিনেত্রী।
কালো ব্লাউজের সঙ্গে বেগুনি শাড়ির কম্বিনেশনে অসাধারণ রূপসী লাগছে ওই নায়িকাকে। সঙ্গে কানে বড় বড় ঝুমকো। তবে হাতে আর গলায় কোন অলংকার পরেননি তিনি। সবথেকে বেশি হাইলাইট করছে নায়িকার সিথির সিঁদুর। ষষ্ঠীর দিন এই সাজে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে সকলকে ষষ্ঠীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ব্যস আর কী, শুরু হয়ে গেল যারপরনাই ট্রোলিং। নায়িকা গত কয়েক মাসে বেশ অনেকটাই ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন আর সেটার জন্য একাধিকবার সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। এবারেও বাদ গেল না সেটা। অধিকাংশ মানুষের বক্তব্য তিনি এতটাই রোগা হয়ে গেছেন যে গলার হাড় বেরিয়ে গেছে। এবার ঝড় দিলে বোধহয় উড়ে যাবেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, নায়িকার সিঁদুর পরা নিয়ে ধর্মীয় খোঁচা কম দেননি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। একজন যেমন লিখলেন ‘মুসলিম হয়েও হিন্দু ধর্ম পালন করে, মাথায় সিঁদুর পরে। এরকম নারীদের দোজখে যাওয়া উচিত।’ আবার কেউ কেউ কটাক্ষ করে প্রশ্ন করেছেন সিঁদুরটা কি তিনি যশের নামে পরেছেন?
আসলে গত বছর পুজোর পর থেকেই নিজেকে যশের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন নুসরত জাহান। যদিও দুজনের বিয়ে নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে। এদিকে পুজোর আগে ছেলে ঈশানের জন্মের পর তার পিতৃ পরিচয় নিয়েও বিস্তার কটাক্ষ শুনতে হয়েছে নায়িকাকে। পরে বার্থ সার্টিফিকেটটাই ভাইরাল হয়ে যায়।
