বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এক উজ্জ্বল নাম ‘শতাব্দী রায়’ (Satabdi Roy)। প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত, অভিষেক কিংবা অর্জুন, টলিউডের (Tollywood) একের পর এক সুপারস্টার নায়কের সঙ্গে পর্দায় জুটি বেঁধে দর্শকের হৃদয়ে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে যাঁর সঙ্গে শতাব্দীর রসায়ন ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়, তিনি অভিনেতা ‘তাপস পাল’ (Tapas Paul) । তাঁদের জুটি ছিল রূপোলি পর্দার এক সময়ের সুপারহিট জুটি (Superhit Pair)। সেই সময়কার ছবিগুলির জনপ্রিয়তা আজও দর্শকমনে অমলিন।
তবে শুধুই নায়িকা হিসেবে নয়, শতাব্দী রায়ের জীবনে যুক্ত হয়েছে আর এক পরিচয়, ‘রাজনীতিবিদ’। অনেক বছর আগে তিনি অভিনয় থেকে একরকম সরে গিয়েছিলেন রাজনীতির জন্য। দীর্ঘ বিরতির পর ফের অভিনয়ে ফিরেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। জানালেন, নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়ার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। অভিনয় করতে করতে ক্লান্তি আসছিল, মনে হচ্ছিল নিজেকে আর ঠিকভাবে খুঁজে পাচ্ছেন না।
শতাব্দী স্পষ্ট করে বলেন, “আমি আর ১৫ বছরের নই।” তাই পর্দায় সেই আগের মতো প্রাণখোলা অভিনয় আর করতে পারছিলেন না বলেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সাময়িকভাবে। তবে দর্শকদের ভালোবাসা তাঁকে বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে, তিনি আজও একজন অভিনেত্রী। তাঁর নিজের মুখেই শোনা গেল, অভিনয়ের প্রতি টান আর দর্শকের ভালোবাসাই তাঁকে আবার ফিরিয়ে এনেছে প্রিয় পর্দায়। পুরনো দিনের স্মৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সেই সময়ের কথা বলতে বলতেই শতাব্দীর চোখে জল চলে আসে।
তাপস পালের সঙ্গে তাঁর জুটি যে শুধু পর্দাতেই ছিল না, বরং পর্দার বাইরেও তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল গভীর। প্রথমে যাত্রা, তারপর শতাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। তাপসের মানসিকতা, সরল ব্যবহার আর বড় মনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শতাব্দী। অভিনেত্রী জানান, পর্দার বাইরের তাপস পাল ছিলেন অত্যন্ত ছেলেমানুষ। মানুষ নিয়ে থাকতে ভালোবাসতেন সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন।
আরও পড়ুনঃ ‘বকা-মার যখন যেটা প্রয়োজন তখন সেটা দরকার, এটাই বাচ্চা মানুষ করার সঠিক পদ্ধতি!’ সন্তান মানুষ করার টিপস দিলেন টলি অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু!
তিনি বলেন, “যাঁরা ওনাকে কাছ থেকে চিনতেন, তাঁরা জানতেন কী দারুণ মানুষ ছিলেন তিনি।” এছাড়াও শতাব্দীর কথায় উঠে আসে ইন্ডাস্ট্রির আরও কিছু চর্চিত প্রসঙ্গও। তিনি অকপটে বলেন, যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন, তখন দেবশ্রী রায় ছিলেন এক নম্বর নায়িকা। তাঁদের সম্পর্ক কখনওই খুব একটা ভাল ছিল না, তবুও শতাব্দী নিজের যোগ্যতায় আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন। আজ যখন আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, তখন সেই পুরনো স্মৃতি, সেই সোনালী দিনের আবেগ যেন আরও গভীর হয়ে ফিরে আসে তাঁর মনে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।