সম্পর্কের শুরুতে শ্রুতিকে এক থাপ্পড় মারতে চেয়েছিলেন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার! ঘটনা শুনে মুখ হাঁ রচনা ব্যানার্জির

কয়েকদিন আগেই পালিত হয়েছে দোল উৎসব। দু’বছর ঘর বন্দী থাকার পর এই বছরের মানুষ প্রাণ ভরে হোলি খেলেছে। আকাশে বাতাসে রঙে রঙে ভরে উঠেছিল জীবন।মানুষ যেমন রাস্তায় বেরিয়ে হোলি খেলেছে সেরকম টিভিতেও এই বছর দোল উপলক্ষ্যে বিভিন্ন চ্যানেলে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো দিদি নং ওয়ানেও রোববার হয়েছে হোলি স্পেশাল এপিসোড।

সেখানে এসেছিলেন বিভিন্ন জনপ্রিয় সেলিব্রেটি জুটি। তবে তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলেন অভিনেত্রী শ্রুতি এবং তার পার্টনার পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। কম বিতর্কের মুখে পড়তে হয়নি এই জুটিকে। প্রথমত তাদের মধ্যে বয়সের ফারাক 14 বছর। সেই নিয়ে প্রায়ই কথা শুনতে হয় তাদের। তার ওপরে শ্রুতির গায়ের রং শ্যামলা বর্ণের তাই নিয়ে চলে বর্ণ বৈষম্য।এছাড়া স্বর্ণেন্দু পরিচালক হওয়ার সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য শ্রুতি লাগিয়ে তার সাথে প্রেম করছে এরকমটাও বলে থাকেন অনেক নেটিজেন।

সবকিছু তুড়ি মেরে উড়িয়ে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে সম্পর্কে আবদ্ধ আছেন স্বর্ণেন্দু এবং শ্রুতি।এখনো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নি ঠিকই কিন্তু দু’জনেই নিজেকে একে অপরের স্বামী-স্ত্রী ছাড়া কিছুই ভাবেন না। দুজনের পরিবারও দুজনকে মেনে নিয়েছে। এসমস্ত গল্প কথা এবার জানা গেল শ্রুতির মুখে দিদি নং ওয়ান এ।

দু বছর 5 মাস কুড়ি দিন হয়েছে তাদের সম্পর্কের। টানা তিন খানা দোল তারা পেয়েছিলেন কিন্তু স্বর্ণেন্দু রঙে ভয় থাকায় শ্রুতির স্বর্ণেন্দু সঙ্গে আগে দোল খেলা হয়নি। দিদি নং ওয়ান এর সেটে এসে শ্রুতির স্বর্ণেন্দু সঙ্গে রং খেলার স্বপ্ন পরিপূর্ণ হয়েছে।

নিজেদের সম্পর্ক কিভাবে শুরু হয়েছে সেই গল্প দিদিকে বললেন শ্রুতি।প্রথম সিরিয়ালের কাজ করতে করতেই শ্রুতি প্রেমে পড়েন স্বর্ণেন্দু কিন্তু স্বর্ণেন্দু প্রথমে বাচ্চা মেয়ে বলে তাকে কাটিয়ে দেন। পরে শ্রুতিরও জেদ ধরে যায়। তিনি স্বর্ণেন্দু কে দিয়ে আই লাভ ইউ টু বলিয়েই ছাড়েন।

এ প্রসঙ্গে একটা মজার গল্প শেয়ার করলেন শ্রুতি। শুরুর দিকে শ্রুতি যখন প্রপোজ করেছিলেন স্বর্ণেন্দুকে তার আগে স্বর্ণেন্দু শ্রুতিকে মোটেই এমনভাবে পাত্তা দিতেন না। স্বর্ণেন্দু নাকি বাড়িতে বলেছিলেন হিরোইন অর্থাৎ শ্রুতিকে তিনি এক থাবড়া মারবেন।যা শুনে হাঁ হয়ে গেলেন রচনা ব্যানার্জি।