বর্ধমান থেকে কলকাতা আসার লড়াইটা কম ছিল না। কিন্তু তিনি এই লড়াই চালিয়েছিলেন। তিনি বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার নায়িকা (Super star heroine) । বর্ধমান থেকে কলকাতায় এসে নিজের দাপুটে অভিনয়ের মাধ্যমে আধিপত্য কায়েম করেছেন। মা ও দিদি ছাড়া তার এই শুরুর পথ চলায় তাকে সমর্থন করেনি প্রায় কেউই। কিন্তু আজ টলিপাড়ার অন্যতম সফল নায়িকা তিনিই। নিজের জেদে, ইচ্ছা শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই লড়াই জিতে নিয়েছেন তিনি।
একটা সময় তিনিই ছিলেন টলিউডের অন্যতম বাণিজ্যিক ছবির সেরা অভিনেত্রী। দেবের সঙ্গে তার জুটি আজও দর্শকদের মনের কোনায় রয়েছে। সেই জুটির প্রেমে পড়েছিল কত মানুষ। সেই জুটিকে দেখে প্রেম করতে শিখেছিল কত তরুন-তরুণী। তবে আজ কমার্শিয়াল ফিল্ম থেকে ওয়েব সিরিজ সর্বত্রই সমান দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলেছেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
চলতি বছরেই হইচইয়ের পর্দায় দেবালয় ভট্টাচার্যের ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এ দ্বৈত চরিত্রে তার অসামান্য অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। এই মুহূর্তে বিভিন্ন ভিন্ন ধারার চরিত্রে তার নিখুঁত অভিনয় দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। তিনি যেমন একাধারে সুঅভিনেত্রী, তেমনই আবার বাংলার জনপ্রিয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী।
আজ থেকে তিন বছর আগে করোনার তীব্রতার মাঝেই মাতৃত্বের আস্বাদ পান অভিনেত্রী। তাদের জীবনে আসতে চলেছে আরও একজন। পদোন্নতি হতে চলেছে ইউভানের। দাদা হবে সে। ভাই বা বোন কেউ একজন আসছে তার ঘরে। তবে এই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে চলতি পুজোয় সৃজিত মুখার্জির আসন্ন দশম অবতার হাতছাড়া হয়েছে শুভশ্রীর। না অভিনেত্রী নিজে সরে আসেননি, বরং পরিচালকের সিদ্ধান্তেই বাদ যান নায়িকা।
নায়িকা এই বিষয়ে কিন্তু বেশ রুষ্ট। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রেগন্যান্সিতে নায়িকারা শুটিং করতে পারবে না এটা মিথ’। সৃজিতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আফসোস না করে অবশ্য অভিনেত্রীর মত মানসিকতা বদল আগে দরকার! টলিপাড়ায় কানাঘুষো এই ঘটনার কারণে নাকি সৃজিতের সঙ্গে রাজ-শুভশ্রীর বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। যদিও এই মুহূর্তে কোন নেগেটিভিটিকে নিজের আশেপাশে আসতে দিচ্ছেন না শুভশ্রী।