বাংলা বিনোদন জগতের এক প্রতিষ্ঠিত এবং কালজয়ী নাম মিতা চ্যাটার্জী। এ যাবৎ বহু চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি কিন্তু তাঁর সর্বাধিক পরিচয় হয়েছে জন্মভূমি ধারাবাহিকের পিসিমা রূপে।
বর্ষীয়ান এই নায়িকা সর্বশেষ ত্রিনয়নী সিরিয়ালে কাজ করেছেন। এরপর একটা লম্বা ব্রেক। তাহলে কি নিজেকে সরিয়ে নিলেন “পিসিমা”?
না, তেমনটা কিছুই নয়। এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা জানিয়েছেন যে করোনা সংক্রমণের জন্য বিগত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে নিজেকে একপ্রকার গৃহবন্দী করে রাখেন তিনি। অভিনয় থেকে দূরে আছেন বলে তিনি যে কাজ করা বন্ধ করেছেন এমন নয়। তিনি এখন লেখালেখি করছেন। বই লেখালেখির কাজ চলছে এখন।
অভিনেত্রীর আসল নাম ছিল নমিতা চ্যাটার্জী। কিন্তু এই নামের দুই নায়িকা থাকায় এই অভিনেত্রীর নাম ছোট করে মিতা করে দেন অনুপ কুমার। হেমেন বসু পরিচালিত ‘ভুলি নাই’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেছিলেন মিতা চ্যাটার্জী।
অভিনয়ের আগে নাচ শিখেছিলেন এই টলি নায়িকা। সেই সঙ্গে তখন নাচ নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু নাচ গান কিংবা অভিনয় নয় পাশাপাশি পড়াশোনা থেকে শুরু করে খেলাধুলা সব দিক দিয়েই দক্ষ ছিলেন তিনি। একসময় তিনি টেবিল টেনিস থেকে শুরু করে সাঁতার সবটাই শিখেছেন।
পাশাপাশি বাংলা, হিন্দির সঙ্গে নেপালি ভাষা শিখেছেন। এসবের মধ্যেই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় একটা ক্ষতি হয়ে যায় যখন বিয়ের বেশ কিছু বছর পরেই একদিন সেলিব্রাল স্ট্রোক হয়ে মারা যান স্বামী তথা সরকারি কলেজের অধ্যাপক শ্রী বিমল কুমার চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের পর সংসারের জন্য বহুদিন ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর আবার অভিনয় জগতে ফিরে আসেন তিনি।
প্রথমে তিনি ডাক পেয়েছিলেন ৬ দিনের একটা চরিত্রের জন্য। পরবর্তীকালে সেই ছয় দিনে চরিত্র কবে যে ৭ বছর হয়ে যায় তা বোঝেননি তিনি। আর এটাই হলো জন্মভূমির জন্যে তাঁর কাজ। মহানায়ক উত্তম কুমারের সাথেও ‘নবজন্ম’ এবং ‘অন্নপূর্ণার মন্দির’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন নায়িকা।