ডান্সিং রিয়েলিটি শো আর সেখানে দেব থাকবেন না সেটা কি হয়? দেব কতটা ভালো নাচ করেন সেটা আমরা সকলেই জানি। এর আগেও স্টার জলসার ডান্স ডান্স আগের দুটো সিজনে ছিলেন তিনি এবং সেখানে ছিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। আগামী ৬ই আগস্ট থেকে আসতে চলেছে, ডান্স ডান্স জুনিয়ার সিজন থ্রি আর সেখানে রয়েছে একের পর এক নতুন চমক। গতকাল কলকাতার এক বিলাসবহুল হোটেলে হয়ে গেল ডান্স ডান্স জুনিয়র এর গ্র্যান্ড লঞ্চ অনুষ্ঠান আর সেখানে আমন্ত্রিত ছিলাম আমরা।
প্রচুর গল্প আড্ডা হল তারকাদের সঙ্গে এবং এই বিষয়েই আজকে জানাবো আপনাদের যারা ডান্স ডান্স জুনিয়র সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। প্রথমেই বলে নেয়া যাক এটা হল বংঞ্জাবি প্রোডাকশনের যারা বর্তমানে বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধির প্রোডাকশন করছেন। কোয়েলের স্বামী প্রযোজক নিসপাল সিং রানে এবং পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় মিলে এটি খুলেছেন আর শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নিজে ডান্স ডান্স জুনিয়র এর পরিচালক।
এবার আসা যাক কী কী বললেন দেব মনামী রুক্মিণী দীপান্বিতা অভিষেক তৃণা সাহা। এসেছিলেন রোহন ভট্টাচার্য। ২১ জন প্রতিযোগীকে বাছতে গিয়ে মাথা খারাপ হয়েছিল সকলের। কেঁদে ফেলেছিলেন রুক্মিণী একটা অডিশনের সময়, জানালেন মনামী। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসাম দিল্লি উড়িষ্যা বাচ্চারা এসেছে এবং তাদের ট্যালেন্ট দেখে ছিটকে গেছেন বিচারকরা। রুক্মিণী যেমন এক বাক্যে জানালেন যে তিনি বাচ্চাদের দেখে দুটো জিনিস শিখেছেন। এক তাদের ফিয়ারলেস মনোভাব। দুই তাদের মধ্যে যে গ্রেস রয়েছে, তারা জানে যে যে এখন স্টেজে নাচছে সে হলো তার প্রতিযোগী কিন্তু সেটা তাদের মাথাতেই নেই বরং নিজের বন্ধু ভেবে তারা সমানে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে সেই প্রতিযোগীকে। তিনটে করে ওয়াও পেতে হবে সকলকে এবং তারপরই তারা লেভেল আপ করবে।
দেব আর মনামীকে তো আমরা আগেই দেখেছি সেখানে একদম নতুন এবং এই অভিজ্ঞতাটা তার ভীষণ ভালো লেগেছে। এবার আসা যাক ক্যাপ্টেনদের কথায়। তিনজন ক্যাপ্টেন রয়েছেন অভিষেক বোস দীপান্বিতা রক্ষিত এবং তৃণা সাহা।আপনারা অনেকেই কোথায় ভেবেছেন যে এরা শুধুমাত্র অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত এবং এরা নাচের কিছুই জানেন না।
আপনারা একদমই ভুল। তাদের সঙ্গে কথাবার্তায় জানা গেল তৃণা সাহা ছোট থেকেই ক্লাসিক্যাল ডান্সার।খুকুমণি অর্থাৎ দীপান্বিতা রক্ষিত তিন বছর বয়স থেকেই নাচ শেখেন এবং তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত্থক নিয়ে মাস্টার্স করেছেন। বহুদিন আগে স্টার জলসার ডান্সিং স্টার বলে একটা নাচের রিয়ালিটি সহ সেখানে ফাইনালিস্ট ছিলেন অভিষেক বোস। অর্থাৎ বুঝতে পারছেন ক্যাপ্টেনরা সকলেই নাচে কতটা দক্ষ। ধারাবাহিক ছেড়ে সকলের একদম নতুন অভিজ্ঞতা কিন্তু নাচের জগতে ফিরতে পেরে এই তিনজন ভীষণ খুশি।
তৃণার সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় জানা গেল যে তিনি আগে মাসে ২৫ দিন শুটিং করতেন কিন্তু এখন খড়কুটো, ওয়েব সিরিজ এবং এই ডান্স ডান্স জুনিয়রের কারণে পারলে তাকে মাসে ৩০ দিনে শুটিং করতে হবে এবং তিনি তাতেই খুশি কারণ ভগবানের দয়ায় তিনি কাজ করতে পারছেন। তিনি অনুষ্ঠানে আসার কিছুক্ষণ পরে চলেও গেলেন কারণ তার শুটিং রয়েছে।
এছাড়াও ছিল মিষ্টি দুই সঞ্চালক সঞ্চালিকা লাড্ডু আর উদিতা। সঙ্গে ছিল ভাসান বাপি অর্থাৎ রোহন ভট্টাচার্য। কোচ হিসাবে থাকছেন কোরিওগ্রাফার পাঁচজন, অভিষেক, রিকি অদিতি বিভাস মৌমিতা।এদের মধ্যে অভিষেক রিকি অদিতি কে আপনারা দেখেছেন ডান্স বাংলা ডান্স থেকে উঠতে যার পরিচালনা করতেন শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় কিন্তু এখন সবাই স্টার জলসায় চলে এসেছেন।
লাড্ডু আর উদিতার কথা শুনে আমরা সবাই হেসে খুন। ভীষণ মিষ্টি এই দুটি বাচ্চার সঞ্চালনা আপনাদেরকে দেখতেই হবে কারণ এক দিক দিয়ে এদের মধ্যে মাঝে মাঝে ভীষণ ম্যাচিউরিটির ঝলক ফুটে উঠছে আবার বাচ্চামিটাও সমান তালে চলছে। প্রচুর মজা থাকবে সেই সঙ্গে থাকবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তবে সবাইকে খুব ভালোভাবে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে এবং ডান্স ডান্স জুনিয়রের পক্ষ থেকে দাবি করা হলো যে এই শো’টি ভারতের অন্যতম ডান্সিং রিয়ালিটি শো হতে চলেছে। তাই আগামী ৬ই আগস্ট থেকে প্রতি শনি রবি রাত সাড়ে নয়টা থেকে দেখতে ভুলবেন না ডান্স ডান্স জুনিয়ার সিজন থ্রি।