বলিউডের তিন খানের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় আমির খান ভারত বিরোধী, হিন্দু বিরোধী, এমনই সব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ‘লাল সিং চাড্ডা’ বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেট নাগরিকরা। এই নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ এবং বিনোদন দুনিয়া।
টুইটারে ট্রেন্ডে চলে এসেছে ‘হ্যাশট্যাগ বয়কট লাল সিং চাড্ডা’। আর এই বিষয়ে অভিনেতা আমির খানের পুরনো বেশ কিছু মন্তব্য সামনে এসেছে যা নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হল।
এই নিয়ে আমিরের একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের অংশ সামনে এসেছে যা ভাইরাল হয়ে গেছে আবার নতুন করে। সেখানে আমির বলেছিলেন, ভারত এমনিতে খুব সহিষ্ণু দেশ হলেও কিছু মানুষ আছেন যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘৃণা, হিংসা ছড়াতে চান। শুধু তাই নয়, তিনি আরো বলেন যে দেশের পরিস্থিতির জন্য স্ত্রী কিরণ রাও নাকি সন্তানদের নিয়ে ভারত ছেড়ে চলে যেতে চান। যদিও সেই সময়ে কিরণের সঙ্গে আমির খানের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি।
দেশবাসী এই মন্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু অভিনেতা হয়তো ভাবতে পারেননি সেটাই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে তাঁর কাছে। আর এখন সেই মন্তব্যই অভিনেতার সিনেমার সাফল্যের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এবার বেগতিক দেখে মুখ খুলেছেন আমির খান। তিনি গোটা ভারতবর্ষকে অনুরোধ করেছেন তারা যেন সিনেমা বয়কট না করে। দয়া করে দর্শকরা যেন সিনেমা হলে ‘লাল সিং চাড্ডা’ দেখতে যায়। আমির জানিয়েছেন তাঁর কষ্ট হয় এটা ভেবে যে যাঁরা মনে মনে এমনটা ভাবছেন তাঁরা জানেন না সেটা সত্যি নয় যে তিনি ভারতকে ভালোবাসেন না। কিছু মানুষের চিন্তাধারাটাই এমন।
এর আগেও একবার ভারতবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল এই অভিনেতাকে। শিবলিঙ্গে দুধ ঢেলে নষ্ট না করে বরং ওই টাকায় দরিদ্র শিশুদের খাওয়ানো যেতে পারে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন আমির খান। ২০২০ তে যখন বলিউডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ঢেউ জোরালো হয়ে উঠেছিল তখন করিনা কাপুর অর্থাৎ এই সিনেমার মূল অভিনেত্রী নিজের মুখে বলেছিলেন যে জোর করে সিনেমা হলে দেখতে যেতে হবে না সিনেমা। পছন্দ না হলে সিনেমা দেখবেন না। এখন সেই মন্তব্যগুলোকে তুলে ধরে পাল্টা কটাক্ষ করা হচ্ছে।