আগামীকাল মহালয়া আর তারপরেই এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বা বলা চলে মহোৎসব। পুজোর এই পাঁচটা দিনের জন্য প্রতিটি বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে সারা বছর। সেটা কোনও তারকা হোক, কোনও সেলিব্রেটি হোক বা যে কোনও সাধারণ মানুষই হোক না কেন, প্রত্যেক বাঙালির কাছে পুজোর এই পাঁচটা দিন যেন প্রাণভরে বেঁচে নেওয়ার সুযোগ।
শত কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও যেভাবেই হোক আমরা ঠাকুর দেখতে বেরোই বা একটু বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা আর সেই সঙ্গে পেট পুজো চলতেই থাকে। ঠিক এমনই এক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন আমাদের সঙ্গে এই তারকা অভিনেত্রী। তিনি হলেন সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া ধারাবাহিক বৌমা একঘরের জনপ্রিয় চরিত্র “রিয়া” অদিতি ঘোষ। আমাদের পুজো স্পেশাল আড্ডায় তার সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিলেন আমাদের প্রতিনিধি।
View this post on Instagram
অদিতির কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম আর তো কয়েকটা দিন মাত্র তাই এবার পুজোর বিশেষ কী প্ল্যান? অদিতি জানিয়েছেন পুজোর সময় গ্রামের বাড়ি অর্থাৎ বর্ধমানে কাটান তিনি। গ্রামের পুজোয় বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলের সঙ্গে মিলে দারুন মজা হয়। আবার মাঝে মাঝে নৈহাটিতে অবস্থিত মামার বাড়িতে চলে যান পুজো দেখতে। আর কলকাতার পুজো? না, কলকাতায় কোনওবারই সেভাবে থাকা হয় না তবে একবারই সুযোগ হয়েছিল তখন টুকটাক ঠাকুর দেখেছিলেন। তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল শ্রীভূমি। নায়িকার কাছে লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখার মজাটাই আলাদা। এখনও সুযোগ পেলে তেমন করতে চান। তবে এবার যেহেতু দুর্গাপুজো শেষ হবার পরেই মুক্তি পাচ্ছে অদিতি অভিনীত নতুন ফিচার ফিল্ম তাই তা নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছে। ফলে টুকটাক কাজ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে দুর্গাপুজো নিয়ে বেশ কিছু টুকটাক শুট সেরে ফেলেছেন তিনি। সেই কারণে ঠিকঠাক শপিং এখনও অবধি করে উঠতে পারেননি তিনি।
View this post on Instagram
তবে শপিং করলে বরাবর মায়ের সাথে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে শপিং করতে ভালোবাসেন অদিতি। সঙ্গে নায়িকার বাবাও থাকেন কিন্তু বাবা তাড়া দিতে থাকেন। এটা বলেই খানিকটা হেসে ফেললেন নায়িকা। তাই মাকে সঙ্গে করে বেশিরভাগ সময় নিয়ে যান তিনি শপিং করতে। যদিও এবার নায়িকার মন খারাপ কারণ এই প্রথমবার মুখ্য চরিত্রে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি “বৌমা একঘর” ধারাবাহিকে আর সেটা যে এভাবে বন্ধ হয়ে যাবে সেটা কল্পনা করতে পারেননি তিনি। সবে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছিলেন খলনায়িকা রিয়া চরিত্রের মধ্যে দিয়ে। আর স্বপ্ন পূরণ করতে না করতেই শেষ হয়ে গেল।
View this post on Instagram
পুজোর ওই কটা দিন কিন্তু একেবারেই ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়া চলে না অদিতির। যখন যেটা খেতে মন চাইছে সঙ্গে সঙ্গে সেই খাবারে ভাগ বসিয়ে দেন তিনি। একেবারে খাঁটি বাঙালির মতোই ওই সময় খাওয়া-দাওয়া করেন পাত পেড়ে। আর পুজোর ঘোরাঘুরির সাথে আরও একটি বিষয় জড়িয়ে থাকে তা হলো পুজোর প্রেম। তবে নায়িকা দুঃখিত এখনও মনের মানুষ খুঁজে পাননি তিনি। পুরোপুরি সিঙ্গেল তিনি। তাই এবারের পুজোও সিঙ্গেল কাটাতে হবে নায়িকাকে।
View this post on Instagram
আর মায়ের কাছে কী বিশেষ প্রার্থনা করবেন এবার পুজোয়? নায়িকা জানিয়েছেন এবার তিনি দুর্গাপুজোয় মায়ের কাছে এটাই প্রার্থনা করবেন যাতে সকলে সুস্থ থাকে, ভালো থাকে এবং তিনি এভাবেই প্রচুর কাজ করতে পারেন আর সেই কাজের মধ্যে দিয়ে দর্শককে বিনোদন দিতে পারেন। সেই সঙ্গে আরও একটি বিশেষ মনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যে আবার খুব তাড়াতাড়ি তিনি ধারাবাহিকে ফিরে আসতে চান। তাই সেই সুযোগ যেন তাঁকে দেওয়া হয় কারণ এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই মানুষ তাঁকে চিনেছিল।
সাক্ষাৎকার: তিতলি ভট্টাচার্য