এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির মধ্যে স্টার জলসার ‘আলতাফড়িং’ একটি। যেটিতে একটি জিমন্যাস্টিক করা মেয়ের উঠে আসার গল্প দেখানো হয়েছিল। উল্টোদিকে তার মায়ের সঙ্গে হওয়া অবিচারের জবাব দিতে দেখা যায় তাকে। তার মায়ের সাথে যে অন্যায় করেছিল তাকেও খুঁজে বের করে এবং তার মাকে সবার সামনে যোগ্য সম্মান দেয়।
তবে সম্প্রতি রাধারানী অর্থাৎ ফড়িংয়ের মা তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকছে। ধারাবাহিকের সম্প্রতি একটি পর্বে দেখানো হচ্ছে যে দুর্গাপুজোর দশমীর বিজয়া চলছে। এবং দশমীতে বাঙালিরা সচরাচর সিঁদুর খেলে থাকে। আর সেই সিঁদুর খেলা নিয়েই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে একটি প্রথাভাঙ্গা রীতি। যা দর্শককে মুগ্ধ করেছে।
প্রসঙ্গত ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে বিজয়ার অনুষ্ঠান চলছে এবং সেই সময় সকল বিবাহিত মহিলারা সিঁদুর খেলছে। সাধারণত বাঙালি হিন্দু ঘরে অবিবাহিতা এবং বিধবা মহিলারা সিঁদুর খেলেন না। আর গতকালের পর্বে ফড়িং এর শাশুড়ি যখন রাধারানীকে সিঁদুর পরাতে যাবে সেই সময় অভ্রর সেজ কাকিমা তাতে আপত্তি জানায়। তার কারণ ফড়িং হল রাধারানী এবং নির্মলের অবৈধ সন্তান। তাদের কখনো বিয়ে হয়নি। তাই রাধারানী যেহেতু অবিবাহিতা তাই তার কোন অধিকার নেই সিঁদুর খেলার এমনটাই বলে সেজ কাকিমা।
কিন্তু ফড়িং এই নিয়মে আপত্তি জানায়। এবং ফড়িং বলে যে এইসব অযৌক্তিক কুসংস্কার আজকাল আর মানুষ বিশ্বাস করে না। আর সেজ কাকিমা যে ঝামেলাটা সৃষ্টি করছিল তা খুব ভালোভাবেই সামাল দেয় ফড়িং। এই দৃশ্য দেখানোর পরেই নেটিজেনরা ধারাবাহিকের প্রশংসা করেছে যে ধর্মের নামে কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেয়নি, বরং মানুষকে এইসব প্রথা ভাঙার কথাই দেখিয়েছে।